West Bengal Crime News,নকল টাকার বান্ডিল দেখিয়ে টোপ, মহিলাদের থেকে সোনা হাতানোর ‘মাস্টারপ্ল্যান’! মেমারিতে ফাঁস চক্র – bardhaman memari police arrest 3 person in a cheating case


মহিলাদের থেকে গয়না হাতানোর জন্য ‘মাস্টারপ্ল্যান’? টাকার লোভ দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছিল ‘অভিনব’ প্রতারণা চক্র। মঙ্গলবার মেমারি থানার অভিযানে গোটা চক্রের পর্দাফাঁস! গ্রেফতার ৩।গায়ে সোনার গয়না রয়েছে এমন মহিলাদের নিশানা করত প্রতারকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, থরে থরে সাজানো নোটের বান্ডিল নিয়ে আচমকায় টার্গেটের কাছে হাজির হত প্রতারকরা। তারপরেই শুরু হত টাকা কুড়িয়ে পাওয়ার গল্প। এরপরই সুযোগ বুঝে গয়না হাতিয়ে চম্পট দিত প্রতারকের দল। দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের ঘটনার অভিযোগ পাচ্ছিল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার মেমারি বাসস্ট্যাণ্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় নির্মল রায়,মলিন দাস ও গোপাল শর্মাকে। তাদের বাড়ি যথাক্রমে ব্যারাকপুর,কল্যাণী এবং চাকদা এলাকায়।

প্রতারকরা মূলত মহিলাদেরই টার্গেট করত। নকল নোটের বান্ডিলের উপর ১০০ বা ৫০০ টাকার আসল নোট রেখে টাকার গোছা তৈরি করা হত। এরপর তা নিয়ে সাধারণত বাসস্ট্যান্ড বা স্টেশন এলাকায় যাত্রী সেজে দাঁড়িয়ে থাকত প্রতারক। এরপর চলত ‘টার্গেট’ খোঁজার কাজ। প্রথমে একজন প্রতারক সোনার গয়না পরা কোনও মহিলাকে টার্গেট করে সখ্যতা গড়ে তুলত। কিছুক্ষণ পরে অপর প্রতারক দলের সদস্য গিয়ে নোটের বান্ডিলগুলি কুড়িয়ে পেয়েছে বলে দাবি করত। মহিলা এবং যাত্রী বেশে থাকা নিজের দলের সদস্যর কাছে বিষয়টি গিয়ে পাড়ত। কেউ টাকা চাইতে এলে যেন জানানো হয় বান্ডিল উদ্ধারের কথা, সেই বিষয়টিও মহিলাকে জানানো হয় এবং তার হাতে সেই নোটের বান্ডিল দিয়ে চলে যেত প্রতারক।

এদিকে মহিলার সঙ্গে থাকা ওই দলের সদস্য এই সময়ের মধ্যে মহিলাকে বোঝাত টাকা যাতে কারও হাতে না দিয়ে তা নিজেরা ভাগাভাগি করে নেয়। প্রতারকরা মহিলাকে প্রলোভন দেখিয়ে টাকাগুলো ভাগাভাগি করার জন্য বলত। এমনকী, মহিলার বিশ্বাস অর্জনের জন্য টাকার বান্ডিলগুলি তাঁর ব্যাগে রাখা হত।

এদিকে মহিলাকে গয়না ছিনতাই হয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে সেগুলি খুলি ব্যাগে রাখার পরামর্শও দিত প্রতারক। মহিলা ভরসা করে গয়না ব্যাগে রাখলে প্রতারকরা সুযোগ বুঝে গয়নাভর্তি ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিত। বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ধরনের প্রতারণার খবর আসছিল। এরপরই

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মেমারি বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালায় পুলিশ। ৩ ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রতারণার কথা স্বীকার করে নেয়। বুধবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে মেমারি থানার পুলিশ। এই ঘটনার নেপথ্যে আর কেউ রয়েছে কিনা, সেই খোঁজ করছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *