Trinamool Congress Wants To Gave Durgapur Municipal Corporation Mayor Position To Narendranath Chakraborty


সঞ্জয় দে, দুর্গাপুর
আসানসোল ও বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র দু’টি জিততে তাঁর উপরই ভরসা রেখেছিল তৃণমূল। তাঁর প্রতি দলের সেই আস্থার মর্যাদা রেখেছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কও। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার আরও একটি গুরুদায়িত্ব বর্তাচ্ছে তাঁর কাঁধে। তাঁকে মেয়র প্রজেক্ট করে দুর্গাপুর পুরসভায় ফের ক্ষমতায় আসতে চাইছে তৃণমূল।দুর্গাপুর পুরসভা নির্বাচনের মেয়াদ পেরিয়েছে আগেই। সামনেই এই পুরসভায় নির্বাচন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে ভাবা হয়েছে নরেন্দ্রনাথের কথা। দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের এ-জোনের অরবিন্দ রোডে ৭/১ নম্বর কোয়ার্টারে তৃণমূলের নতুন পার্টি অফিস। সেই ঠিকানাতেই নরেন্দ্রনাথের নতুন ভোটারকার্ডের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে নরেন্দ্রনাথ বলেন, ‘দল এখনও পর্যন্ত যা দায়িত্ব দিয়েছে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। আগামী দিনেও করব।’

লোকসভা নির্বাচনে আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহা ও বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে কীর্তি আজাদকে জেতানোর দায়িত্ব ছিল নরেন্দ্রনাথের উপর। দুই প্রার্থীই ভালো মার্জিনে জয় পেয়েছেন। বিশেষ করে শত্রুঘ্ন সিনহার জয়ে নরেন্দ্রনাথের ভূমিকা চোখে পড়েছে মানুষের। বহু সময়েই দেখা গিয়েছে, প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে মানুষের দোরে গিয়ে ভোট চেয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। দলীয় সূত্রে খবর, বিনিময়ে দলও তাঁকে উপহার হিসেবে দুর্গাপুরের মেয়র পদ দিতে চলেছে।

মেয়র পদে প্রার্থী হলেও নরেন্দ্রনাথ জানেন, এক্ষেত্রেও জয় সহজে আসবে না। অন্তত খাতায়-কলমে তো বটেই। দুর্গাপুর পুরসভায় ক্ষমতায় আসতে গেলে তাঁকে ফের কঠিন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, দুর্গাপুর পুরসভার ৪৩টি ওয়ার্ডের মাত্র ১০টিতে এগিয়ে তৃণমূল। বাকি ৩৩টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে গেরুয়া শিবির।

তবে জয় নিয়ে তিনি নরেন্দ্রনাথ আত্মবিশ্বাসী। বলেন, ‘পুর নির্বাচনে বিরোধীরা কোনও ফ্যাক্টর হবে না। লোকসভা নির্বাচনের ফল থেকেই পরিষ্কার মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে। তাছাড়া দুর্গাপুরের দু’টি কেন্দ্র মিলিয়ে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির লিড ছিল প্রায় ৭৬ হাজার ভোট। এবার সেই ব্যবধান অনেকটাই কমে গিয়েছে।’

কয়েক বছর আগেও দুর্গাপুরের পরিচিতি ছিল বাম দুর্গ হিসেবে। রাজ্য তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেও দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্র থেকে জয় পেয়েছে সিপিএম। এমনকী দুর্গাপুরের উন্নয়নের দাবিতে নিয়মিত আন্দোলন করেছে রাজ্যের পূর্বতন শাসকদল। কিন্তু সেই দলেরই মুখ পঙ্কজ রায় সরকার সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ফলে সিপিএমের লড়াই এবার অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, পুরভোটে টিকিট প্রাপকদের তালিকায় নাম থাকবে পঙ্কজ রায় সরকারের।

লোকসভা নির্বাচনের আগে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দুর্গাপুরে এসে কাউন্সিলারদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররা পুর নির্বাচনে টিকিট পাবেন না। ফলে সেই হিসেবে এবার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার টিকিট পাবেন না বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তালিকায় দেখা যেতে পারে একাধিক নতুন মুখের। টিকিট পেতে পারেন বেশ কয়েকজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিও



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *