West Bengal Police,শিশুচুরির গুজব রুখতে আরও তৎপর পুলিশ, বারাসত শহরে লিফলেট বিলি – police is distributing handbills at barasat for awareness regarding recent child trafficking rumors


শিশুচুরির সন্দেহে ঘিরে বারংবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উত্তর ২৪ পরগনার সদর শহর বারাসত। শিশু পাচারকারী সন্দেহে ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে বেধড়ক মারধরও করা হয়েছে। রেয়াত করা হয়নি মহিলাদেরও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতরা এখন বারাসাত জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আবার গণপ্রহারের হাত থেকে আক্রান্তদের বাঁচাকে গিয়ে জনরোষের শিকার হয়েছে পুলিশও। যদিও গোটা বিষয়টিই গুজব বলে ইতিমধ্যেই জানান হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। আর এবার শহরে লিফলেট বিলি করল পুলিশ। উপস্থিত থাকলেন বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া। মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার আবেদনও জানান তিনি।এদিন বিভিন্ন স্কুলের সামনে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে গুজবে কান না দেওয়ার আবেদন জানান পুলিশ আধিকারিকরা। একইসঙ্গে এই ধরনের গুজব ছড়ালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সাফ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এদিন বারাসাত পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় রীতিমতো টোটোয় চেপে এই সংক্রান্ত সচেতনতামূলক প্রচার করতে দেখা যায় পুলিশ কর্মীদের। মধ্যমগ্রাম, বারাসত, গোবরডাঙা, অশোকনগর সহ বিভিন্ন থানা এলাকায় মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রচার অভিযান চালায় পুলিশ প্রশাসন।

এদিন পুলিশ সুপার বলেন, ‘সকাল থেকে পেট্রোলিং চলছে। ফোর্স ও অফিসাররা রাস্তায় রয়েছেন। আমরা লিফলেট বিলি করছি, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলছি, ফেসবুকেও প্রচার করছি। আমরা মানুষকে বলছি, গোটা বিষয়টিই গুজব। এই নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।’ একইসঙ্গে পুলিশ সুপার জানান, বুধবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের গুজব ছড়ানোর জন্যও ২ জনকে গ্রেফতার তার করা হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। কিছু ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টেরও হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে অগ্রগতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারি আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়ে দেন পুলিশ সুপার।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বারাসতের কাজিপাড়ায় একটি শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে শিশুচুরির গুজব। সোশ্যাল মিডিয়ায়েতও এই সংক্রান্ত পোস্ট ভাইরাল হয়। বুধবার শিশুচোর সন্দেহে ৩ জনকে বেধড়ক মারধর করে উত্তেজিত জনতা। গুরুতর আহতর অবস্থায় ওই ৩ জনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে মহিলাও রয়েছেন। এমনকী পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে জনতার রোষের মুখে পড়ে পুলিশও। এরপরেই বিষয়টিতে আরও বেশি করে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *