উল্লেখ্য, দার্জিলিং-এ যাঁরা বেড়াতে যান, তাঁদের কাছে বরাবরেরই আকর্ষণ টয় ট্রেন। বহু মানুষই দার্জিলিঙে গিয়ে এই টয় ট্রেনের আনন্দ উপভোগ করেন। কিন্তু এই ঘটনায় স্বভাবতই মন খারাপ পর্যটকদের। কারণ এক্ষেত্রে অনেকেই হয়ত নির্ধারিত ট্যুর প্ল্যানের মধ্যে আর টয় ট্রেনের রাইড ম্যানেজ করে উঠতে পারবেন না।
উল্লেখ্য সম্প্রতি এই টয় ট্রেনে কাটা পড়েই কার্শিয়াং-এ এক যুবকের মৃত্যু হয়। দিন কয়েক আগের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার পর কিছুক্ষণের জন্য বন্ধও থাকে কার্শিয়াং স্টেশনের টয় ট্রেন পরিষেবা। জানা যায়, রোজের মতো ওই দিনও স্টেশনে আসে টয় ট্রেনটি। লাইন পরিবর্তনের সময় টয় ট্রেনটি পিছনের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় টয় ট্রেনে কোনও পর্যটকও ছিলেন না। স্থানীয় সূত্রে খবর, ট্রেনটি যখন পিছন দিকে যাচ্ছিল, সেই সময় লাইনেই দাড়িয়েছিলেন সূর্য রাওয়াত ওই যুবক। ট্রেনের ধাক্কায় লাইনেই পড়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেনের চাকায় কাটা পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত যুবক কার্শিয়াং এলাকারই বাসিন্দা বলেই জানা যায়। ওই ঘটনার জেরে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে টয় ট্রেন পরিষেবা।
এর আগে গতবছরও টয় ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সেই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল দার্জিলিঙে। তিনধারিয়ার কাছে টয় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় খাদকা বাহাদুর তামাং নামে এক ব্যক্তির। ওই ব্যক্তি তিনধারিয়া চা বাগান এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি টয় ট্রেনের ট্র্যাকে এসে পড়েছিলেন। হর্ন দেওয়া সত্ত্বেও শুনতে পাননি তিনি। তারপরেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।