পুলিশ খবর পেয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধার করতে গেলে মারমুখি হয়ে ওঠে জনতা। এক পুলিশ কর্মীকে মারধর করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। পরবর্তীতে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ধার করা হয় আহত ২৮ বছরের ওই যুবতীকেও।
যুবতীর কাছে থাকা আধার কার্ড থেকে জানা গিয়েছে তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা। তবে কি করতে তিনি অশোকনগরে এসেছিলেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় সেই মুহূর্তে ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ। দিন কয়েক আগেই বারাসাতে শিশু পাচারকারী সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গণধোলাইয়ের মত ঘটনা ঘটে।
এরপরই বারাসাত জেলা পুলিশের তরফ থেকে পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা রাস্তায় নেমে সচেতনতা মূলক প্রচার মাইকিং ও লিফলেট বিলি করেন। এমনকি বাচ্চা চুরির গুজব ছড়ালে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এদিনের বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নিলাঙ্গী জানান, অশোকনগরের ঘটনায় সব মিলিয়ে ১৫ জনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের বিষয় কড়া হাতে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সচেতনতা প্রচারও চালানো হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নিয়োগী জানান, যতক্ষণ না মানুষ সচেতন হচ্ছেন ততক্ষণ প্রচার চালানো হবে। মাইকিং প্রচারের পাশাপাশি স্কুলগুলির সামনেও পুলিশ টিম ঘুরছে। তিনি বলেন, ‘আশা করা যাচ্ছে, দু-একদিনের মধ্যেই মানুষ বুঝতে শুরু করবেন বিষয়টি গুজব।’ যদিও এত কিছুর পরও এই ধরনের ঘটনা বারংবার হতে থাকায় কিছুটা হলেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রশাসনের তরফে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।