Central Forces,রাজ্যে আরও কদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী? ইঙ্গিত হাইকোর্টের – central forces will remain in west bengal for few more days says calcutta high court


এই সময়: রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকার সময় ফের বাড়ানোর ইঙ্গিত দিল হাইকোর্ট। ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস রুখতে আগামী বুধবার পর্যন্ত বাহিনী রাখার পক্ষে মত দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও শুক্রবার রাত পর্যন্ত রায় হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড হয়নি। আগামী বুধবার ফের শুনানি রয়েছে।প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের আগের নির্দেশ মতো শুক্রবারই ছিল রাজ্যে বাহিনী থাকার শেষ দিন। এরই মধ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে অন্তত ১০২৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্যপালের কাছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, তা জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল।

এ দিন আদালতে মামলাকারী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রিওয়াল হলফনামা জমা দিয়ে অভিযোগ করেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ত্রাসের জেরে বিরোধী দলের সমর্থকরা ঘর ছাড়া। কোথায় কতজন আক্রান্ত, তার হিসেবও জমা দেন তিনি। যাঁদের বাড়িতে লুঠপাট চলেছে বলে অভিযোগ, তাঁদেরও তালিকা দেওয়া হয়। পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।

আর এক আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত দাবি করেন, এই বিষয়ে তদন্তভার সিবিআইকে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সময়ও বাড়াতে হবে। আর এক মামলাকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার দাবি করেন, বর্তমানে রাজ্যের কী অবস্থা, রাজ্য ও কেন্দ্র তার প্রকৃত তথ্য তুলে ধরুক। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনও বলেন, প্রকৃত অবস্থা কী, আমরা জানতে চাই।

রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ডিজির অফিসে ৪ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত অভিযোগ জানিয়ে ৮৫৯টি ইমেল এসেছে। ২০৪টি ক্ষেত্রে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বাকি ১৭৫টি নন-কগনিজেবল। ১৭৯টি ক্ষেত্রে কোনও অভিযোগ প্রকাশ পায়নি। ২০৯টি মিথ্যে অভিযোগ চিহ্নিত হয়েছে। ৪৫টি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পারিবারিক ঝামেলা।

ভোট পরবর্তী হিংসায় ৭ দিনে ১০৭ FIR, রিপোর্ট ডিজিপি-র

হিসেব অনুযায়ী প্রতিদিন রাজ্যের প্রতি জেলায় গড়ে ১০টি করে অভিযোগ হয়েছে। রাজ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। রাজ্য মনে করছে না আরও বেশি সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার দরকার আছে। বিচারপতি ট্যান্ডনের বক্তব্য, অভিযোগ যাই হোক, প্রশ্ন বাহিনী রাখা জরুরি কিনা। কেন্দ্রের তরফে এএসজি অশোক চক্রবর্তী বলেন, হাইকোর্ট নির্দেশ দিলে বাহিনী রাখতে আপত্তি নেই কেন্দ্রের।

বিচারপতি মৌখিক ভাবে বলেন, আপাতত পুলিশ অভিযোগের জায়গাগুলিতে কড়া নজরদারি করবে। বুধবার পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এরই মধ্যে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের প্রস্তাবিত মিছিলের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। ‘বঙ্গ বিবেক’ নামে ওই সংগঠনটির অভিযোগ, সোমবার দুপুর ২টোয় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হলেও কিছু জানানো হয়নি। মিছিলের পর রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দেবেন সংস্থার নির্বাচিত সদস্যরা। বেশ কিছু শর্তে আদালত মিছিলের অনুমতি দেয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *