এ দিন আদালতে মামলাকারী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রিওয়াল হলফনামা জমা দিয়ে অভিযোগ করেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ত্রাসের জেরে বিরোধী দলের সমর্থকরা ঘর ছাড়া। কোথায় কতজন আক্রান্ত, তার হিসেবও জমা দেন তিনি। যাঁদের বাড়িতে লুঠপাট চলেছে বলে অভিযোগ, তাঁদেরও তালিকা দেওয়া হয়। পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।
আর এক আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত দাবি করেন, এই বিষয়ে তদন্তভার সিবিআইকে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সময়ও বাড়াতে হবে। আর এক মামলাকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার দাবি করেন, বর্তমানে রাজ্যের কী অবস্থা, রাজ্য ও কেন্দ্র তার প্রকৃত তথ্য তুলে ধরুক। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনও বলেন, প্রকৃত অবস্থা কী, আমরা জানতে চাই।
রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ডিজির অফিসে ৪ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত অভিযোগ জানিয়ে ৮৫৯টি ইমেল এসেছে। ২০৪টি ক্ষেত্রে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বাকি ১৭৫টি নন-কগনিজেবল। ১৭৯টি ক্ষেত্রে কোনও অভিযোগ প্রকাশ পায়নি। ২০৯টি মিথ্যে অভিযোগ চিহ্নিত হয়েছে। ৪৫টি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পারিবারিক ঝামেলা।
হিসেব অনুযায়ী প্রতিদিন রাজ্যের প্রতি জেলায় গড়ে ১০টি করে অভিযোগ হয়েছে। রাজ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। রাজ্য মনে করছে না আরও বেশি সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার দরকার আছে। বিচারপতি ট্যান্ডনের বক্তব্য, অভিযোগ যাই হোক, প্রশ্ন বাহিনী রাখা জরুরি কিনা। কেন্দ্রের তরফে এএসজি অশোক চক্রবর্তী বলেন, হাইকোর্ট নির্দেশ দিলে বাহিনী রাখতে আপত্তি নেই কেন্দ্রের।
বিচারপতি মৌখিক ভাবে বলেন, আপাতত পুলিশ অভিযোগের জায়গাগুলিতে কড়া নজরদারি করবে। বুধবার পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এরই মধ্যে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের প্রস্তাবিত মিছিলের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। ‘বঙ্গ বিবেক’ নামে ওই সংগঠনটির অভিযোগ, সোমবার দুপুর ২টোয় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হলেও কিছু জানানো হয়নি। মিছিলের পর রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দেবেন সংস্থার নির্বাচিত সদস্যরা। বেশ কিছু শর্তে আদালত মিছিলের অনুমতি দেয়।