India Books Of Records,মাত্র আড়াই বছরেই ঠোঁটস্থ একাধিক দেশের নাম, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে ঠাঁই কোলাঘাটের জিনিয়ার – india books of records kolaghat 2 and half year old jinia name has been included good news


ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিল কোলাঘাটের আড়াই বছরের জিনিয়া। এই বছর ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে তাঁর নাম নথিভুক্ত হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের মোহিষগোট গ্রামের জিনিয়ার বয়স সবে আড়াই। আর এই বয়সেই নিমেষেই ইংরেজিতে বারো মাসের নাম বলতে পারে, কোন দেশের জাতীয় পতাকা কোনটি, তাও বলার ক্ষেত্রে সড়গড়। পাশাপাশি বিভিন্ন কবিতাও তাঁর ঠোঁটস্থ।গত দু’মাস আগে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম নথিভুক্তিকরণের জন্য সমস্ত তথ্য পাছিয়েছিল জিনিয়ার পরিবার। এরপর সমস্ত দিক বিবেচনা করে অবশেষে বাড়িতে এল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের পুরস্কার। সংস্থার পক্ষ থেকে জিনিয়ার জন্য পাঠানো হয় একটি সুদৃশ্য মেডেল। এছাড়াও শংসাপত্র,সুদৃশ্য পেন সহ একাধিক উপহার পেয়েছে এই খুদে।

আর এই পুরস্কার আসার পরেই জিনিয়ার পরিবারে খুশির হাওয়া। ছোট্ট জিনিয়াকে দেখার জন্য ভিড় করছেন স্থানীয়রা। মা রুম্পা মান্না ও বাবা তুষার মান্না জানান, জিনিয়ার প্রতিভা দেখে তাঁদের তাক লেগে গিয়েছিল। আগামীদিনে আরও কোনও প্রতিযোগিতায় জিনিয়ার নাম নথিভুক্ত করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন তাঁরা। ছোট থেকেই মেয়ের জন্য দিনের অধিকাংশ সময়টাই বরাদ্দ রাখেন মা রুম্পা মান্না। মেয়েকে বিভিন্ন দেশের নাম শিখিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সমস্ত শিক্ষাই তাঁর দেওয়া।

পাশাপাশি বাবা, দাদু, ঠাকুমাও বিভিন্ন সময় জিনিয়াকে সাধারণজ্ঞানের প্রশ্ন করতেন। সবমিলিয়ে ছোট্ট জিনিয়া দিন দিন নিজের জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করেছে।
জিনিয়ার বাবা তুষার মান্না জানান, তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। দিনের অধিকাংশ সময় হয়তো মেয়েকে দিতে পারেন না। কিন্তু, চেষ্টা করেন মেয়ের পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোনও খামতি যাতে না থাকে। জিনিয়াকে সমস্ত কিছু শেখানোর বিষয়ে স্ত্রীকেই ‘ক্রেডিট’ দিয়েছেন তিনি।

তুষার বলেন, ‘আমাকে কাজের জন্য অধিকাংশ সময় বাড়ির বাইরেই থাকতে হয়। ওর মা ওকে পড়াশোনা শিখিয়েছে।’ এদিকে জিনিয়ার কীর্তিতে খুশি প্রতিবেশীরাও। এমনিতেই ফুটফুটে এই কন্যা সকলের আদরের। প্রতিবেশীদের কোলে কোলেই তাঁর দিনের বেশিরভাগ সময়টা কাটে। তাঁদের জিনিয়ার নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে ওঠায় কার্যত খুশির আমেজ প্রতিবেশীদের মধ্যেও। এদিকে যাকে নিয়ে এত হইচই সেই জিনিয়া অবশ্য বিশেষ কিছু একটা বুঝতে পারছে না কী হচ্ছে। বাড়িতে লোকজনের উপচে পড়া ভিড় থেকে রীতিমতো থতমত খাচ্ছে সে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *