গান্ধর্ব মতে শুভদৃষ্টি থেকে শুরু করে হস্ত বন্ধন, মালা বদল থেকে সিঁদুর দান সবটাই হল। কার্তিক বলেন, ‘আজ থেকে নতুন জীবন শুরু। পরিবারের সকলেই খুব খুশি।’ এদিকে বাঙালি বধূ সাজে ম্যানুয়েলার ঠোঁটে উপচে পড়া হাসি। ইংরেজিতেই ব্রাজিলিয়ান সুন্দরী জানালেন, তিনি অত্যন্ত খুশি। নদিয়ার নবদ্বীপ ব্লকের ফরেস্ট ডাঙ্গা এলাকার মণ্ডল পরিবার কার্যত ভাসছে খুশিতে।
উল্লেখ্য, কার্তিক কিছুদিন সুরাটে ছিলেন। সেই সময়ই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ব্রাজিলের বাসিন্দা ম্যানুয়েলা আলভেস দা সিলভার। সোশ্যাল মিডিয়ার সেই আলাপ যে কখন বন্ধুত্ব এবং পরে প্রেমের রূপ নিয়েছে, তা বুঝতে পারেনি কেউ।
কার্তিক জানান, তাঁরা নতুন জীবনে পা রাখার পরিকল্পনা করেন এবং তাঁর প্রেমিকা ভারতে চলে আসে। তাঁর বাড়ি থেকেই বিয়ের আয়োজন করা হয়। প্যান্ডেল বাঁধা থেকে শুরু করে সানাই, কোনও কিছুর খামতি ছিল না। পড়শিরাও নাওয়া খাওয়া ভুলে বিয়ের আয়োজনে জুটেছিলেন। অন্যদিকে, বিদেশিনী শাড়ি পরা অভ্যাস করেছেন বেশ কয়েকবার। বাঙালি খাবারেও তাঁর অরুচি নেই। ঝালের জন্য কিছু খাবার তিনি খেতে না পারলেও ভাত-ডালে তাঁর অরুচি নেই। মাঝের মধ্যে ম্যানুয়েলার মনের কথা শোনার জন্য ব্যবহার করতে হচ্ছে ট্রান্সেটর অ্যাপ। কিন্তু, তাতে কী! ওই মনের কথা মনের মানুষ বুঝে যাচ্ছেন, কথা দিয়েছেন ভবিষ্যতেও শুনবে।