২০১২, ২০১৪, ২০১৭ এবং ২০২২-এর প্রাথমিকের টেটেও প্রশ্ন ভুল অথবা উত্তরের অপশন ভুল অভিযোগে মামলা হয়েছিল। ২০১২-র টেটের ভিত্তিতে সাড়ে ১৭ হাজার নিয়োগের পরেও একটি প্রশ্নের উত্তর ভুলের জেরে আদালতের রায়ে আরও ৯০০ জনের চাকরি হয়। ২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে দু’দফায় ৪২,৯৪৯ ও সাড়ে ১৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পর ছ’টি প্রশ্ন ভুল নিয়ে মামলায় দফায় দফায় আরও অসংখ্য (১৩০, ৯৭, ৪৭৪ ও ৭৩৮) নিয়োগ হয়েছে।
অতিরিক্ত এক নম্বর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে ২৬৯ জনের চাকরিও বাতিল করেছে হাইকোর্ট। ২০১৭-য় ২০টি এবং ২০২২-এর টেটের প্রশ্ন ও উত্তরের অপশনে ২৪টি ভুল সংক্রান্ত মামলায় যথাক্রমে বিশ্বভারতী ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। তা চ্যালেঞ্জ করে পর্ষদ ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে। পর্ষদের যুক্তি, প্রশ্ন বা উত্তরে ভুল রয়েছে কিনা, তা যাচাইয়ে সবচেয়ে উপযোগী পর্ষদের বিশেষজ্ঞ কমিটিই। কমিটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিও রয়েছেন।
চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, প্রশ্ন বা উত্তরের অপশনে ভুল নির্ধারিত হওয়ার আগেই নিয়োগ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সেই প্রশ্ন ভুলে সব পরীক্ষার্থী বা সব মামলাকারীর চাকরি কিন্তু বিবেচনা করা হয় না। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ডিভিশন বেঞ্চেরও এক সময়ে পর্যবেক্ষণ ছিল, প্রশ্ন ভুলে কিছু সংখ্যক মামলাকারীই কি শুধু নম্বর পেতে পারেন নাকি সবার সমান অধিকার?