Sbstc Bus Service,স্টিয়ারিংয়ের টাইরডই ভাঙা, যাত্রী নিয়ে ৮২ কিমি ছুটল সরকারি বাস – sbstc bus run from durgapur to saktigarh with steering half broken


এই সময়, দুর্গাপুর: স্টিয়ারিং ও সামনের চাকার সংযোগকারী লোহার দণ্ড (টাইরড) ভাঙা অবস্থায় দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ড থেকে শক্তিগড় পর্যন্ত ছুটল এসবিএসটিসি-র একটি কলকাতামুখী বাস। ব্যাপারটি টের পেয়ে ডিপো থেকে ফোন আসে চালকের কাছে। তড়িঘড়ি শক্তিগড়ে দাঁড় করানো হয় বাসটি। শুক্রবার সকালের এই ঘটনায় যাত্রীসুরক্ষা নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা।অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন বাসের ২২ জন যাত্রী। সংস্থার অন্য একটি বাসে এদিন যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়।
এত বড় গাফিলতি কীভাবে? এসবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন স্থানীয় ট্রাঙ্ক রোড ডিপো থেকে পরীক্ষা করানোর পর সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ডে পাঠানো হয় বাসগুলি। সেখান থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা দেয়।

বৃহস্পতিবার রাতে WB 39B 8331 নম্বরের বাসটি পরীক্ষা করে সংস্থার মেকানিকরা লগবুকে লিখে দেয় যে টাইরড ভেঙে গিয়েছে। মেরামত করতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, এদিন সকালে লগবুক না-দেখে বাসটিকে স্ট্যান্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে সকাল ৬টার সময়ে ছাড়ে বাসটি। যাত্রীদের নিয়ে বাস যখন বর্ধমানে সেই সময়ে ট্রাঙ্ক রোড ডিপো থেকে ফোন করে চালককে জানানো হয় যে বাসের টাইরড ভাঙা। বাস দাঁড় করিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৮২ কিমি দূরে শক্তিগড়ে কোনওরকমে বাসটি দাঁড় করান চালক। বাস থেকে নেমে টাইরডের অবস্থা দেখে চোখ কপালে ওঠে চালক প্রসেনজিৎ মণ্ডলের। তিনি বলেন, ‘চাকার অ্যাক্সেলের সঙ্গে কোনওরকমে আটকে ছিল টাইরড। বাকি অংশ ভাঙা। চলন্ত অবস্থায় টাইরড ভেঙে গেলে যে কী হতো ভেবে পাচ্ছি না। স্টিয়ারিংয়ের উপর নিয়ন্ত্রণই থাকত না। বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেল সকলে।’

এই ঘটনার জন্য ডিপো কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন চালক ও কন্ডাক্টর। অথচ গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ ডিপো ইনচার্জ তাপস মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘বাসের টাইরড মেরামত করার দরকার ছিল ঠিকই। তবে ওই অবস্থায় বাস চালানো যেত।’ তা হলে বাসটি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো কেন?

হঠাৎই অসুস্থ চালক, রামনগরে দোকানে ঢুকল বাস
উত্তরে তাপস বলেন, ‘মেরামত করার জন্য দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ কলকাতা থেকে ফিরে আসার পরেও তো মেরামত করা যেত। মাঝরাস্তায় যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে মেরামতের প্রয়োজন হলো কেন? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেননি ডিপো ইনচার্জ। যদিও সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল বলেন, ‘ডিপো ইনচার্জ সঠিক বলছেন না। কার গাফিলতিতে মেরামতের আগেই বাসটি ডিপো থেকে বেরিয়ে গেল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর তদন্তের রিপোর্ট আমাকে দেবেন। তার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *