অভিযোগ, এদিন পাপিয়াদেবী একটি ক্লাস নিতে যাননি। আর তা নিয়েই বচসা শুরু হয়। মাঝখান থেকে সেই কথোপকথনের মধ্যে ঢুকে পড়েন বিজয় দাস। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় বিজয় দাস প্রধান শিক্ষকের আঙুল মচকে দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর স্কুল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
যদিও এই মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষক বিজয় দাস। অন্যদিকে, শিক্ষিকা পাপিয়া মণ্ডল বলেন, ‘আমি এই স্কুলে ১৭ বছর চাকরি করছি। এত অপমানিত কোনওদিন হয়নি। হুমকি দিয়ে প্রধান শিক্ষক অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটি তৈরি করেছিলেন। আমরা কয়েকজন প্রতিবাদ করেছিলাম। তারপর থেকেই আমাদের হেনস্থা করতে শুরু করেন তিনি।’
তাঁর সংযোজন, ‘পড়ুয়াদের ভুল বুঝিয়ে তিনি ভিডিয়ো করেছেন আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ তুলে। আমার স্বামীকে দেখলেই প্রধান শিক্ষক মারতে যান। প্রধান শিক্ষক নিজেই আমার স্বামীকে মারতে গিয়ে হাতে চোট পান এবং ‘সিন ক্রিয়েট’ করেন।’
অন্যদিকে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষিকাকে ক্লাসে যেতে বলাটা অপরাধ। ২০২১ সাল পর্যন্ত স্কুলের সবকিছু ওঁরা স্বামী-স্ত্রীই দেখত। আমি যোগদান করার আগে থেকেই হুমকি পেতাম।’ প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, ‘ওই দম্পত্তি কোনও কাজই করতে চান না। ক্লাস করতে বললেই অভব্য আচরণ করা শুরু করেন। বছর পাঁচেক ধরে হুমকি শুনছি। মাস ছয়েক আগেও আমাকে ধাক্কা দিয়েছিলেন। আমার কাছে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। ওদের ভয়ে অন্যান্য শিক্ষকরা থরহরি কম্প।’
এদিকে এই ঘটনায় শনিবার কার্যত লাটে ওঠে পঠন পাঠন। শিক্ষক শিক্ষিকাদের এহেন আচরণে প্রভাব পড়েছে পডুয়াদের উপরেও। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছেন না অভিভাবকরা। ঘটনার পর দু’পক্ষই রানিগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।
