পরকীয়ার জেরে স্বামীকে খুন? স্ত্রীকে আটক পুলিসের…| Killing her husband because of adultery police arrested the wife for questioning


সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: বাড়ির পেছন থেকে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় চোপড়ার ভরতগছ এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করল চোপড়া থানার পুলিস। ইতোমধ্যেই মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিস। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ আনোয়ার। স্থানীয় বাসিন্দা এবং মৃতের পরিজনেরা ঘটনায় পরকীয়া সম্পর্কের যোগাযোগ আছে বলে দাবি করেছেন। তাদের অভিযোগ নিজের ঘরেই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এবং খুনের প্রমাণ লোপাট করেছে খুনিরা। এই খুনের ষরযন্ত্রে মৃতের স্ত্রী পরভীনা বেগম জড়িত বলেও অভিযোগ৷ ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। 

এই ধরণের ঘটনায় বছরের শুরুতে একাধিকবার সামনে এসেছে। জানুয়ারিতে মালদায় উদ্ধার হয় এক টোটো চালকের রক্তাক্ত দেহ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই খুনের ঘটনার কিনারাও করে ইংরেজবাজার থানার পুলিস। পরকীয়ার জেরেই স্বামীকে খুন স্ত্রীর। খুনের অভিযোগে নিহত টোটো চালকের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়। 

আরও পড়ুন:Bengal Weather Update: রবিবিকেলের মধ্যেই সর্বত্র ঢুকে পড়ছে বহু প্রতীক্ষিত মৌসুমি বায়ু! আজই নববর্ষার প্লাবন?

সঞ্জয় চৌহান নামে ২২ বছরের ওই টোটো চালকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিস। তদন্তে সামনে আসে খুনের পিছনে পরকীয়া তত্ত্ব। এরপরই গ্রেফতার করা হয় টোটো চালকের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা মন্ডলকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক জেরায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছে প্রিয়াঙ্কা।

এরপরেই আবার মার্চ মাসে বিয়ের একবছরের মাথায় বাড়ি থেকে উদ্ধার এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ ৷ পুত্রবধূর পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই ছেলের এই পরিণতি বলে অভিযোগ বাবার ৷ ঘটনাটি ঘটে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার কালিবাজার এলাকায় ৷ মৃত যুবকের নাম রাকেশ হালদার ৷ পুত্রবধূ মৌমিতা ঢালি ও তার মা মীনা ঢালির বিরুদ্ধে পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা রবীন হালদার ৷

আরও পড়ুন:Brazilian Girl marries Bengali Boy: পান পাতায় মুখ ঢেকে ব্রাজিলিয়ান বউ, পর্তুগিজে মন্ত্র বদলে শুরু ‘ইন্দো-ব্রাজিল’ দাম্পত্যের!

জানা গিয়েছে, স্কুলে পড়তে পড়তেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রাকেশ ও মৌমিতা ৷ তারপর তারা বিয়েও করেন ৷ কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় সাংসারিক অশান্তি ৷ বাবা, মাকে ছেড়ে স্ত্রীর বাপের বাড়ি কালিবাজার এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন রাকেশ ও মৌমিতা ৷ রাকেশের বাবা রবীন হালদারের অভিযোগ পুত্রবধূ মৌমিতা অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ৷ এই নিয়ে ছেলে-বউমা দুজনের মধ্যে অশান্তিও হত ৷ সেইসঙ্গে তাঁর ছেলের উপর মা ও মেয়ে মিলে নির্যাতন চালাত বলেও অভিযোগ ৷  

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *