Banglar Saree,’বাংলার শাড়ি’ -র আউটলেট খুলতে জমির খোঁজে নবান্ন, কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা – nabanna is searching for land to establish outlet of banglar saree


কম দামে মিলবে ভালো মানের শাড়ি। আর তার জন্য দেশ, বিদেশে যেতে হবে না। রাজ্যের বিপণিগুলিতেই যাতে ভালো মানের শাড়ি পাওয়া যায় সেই লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের। কিছুদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ‘বাংলার শাড়ি’ নামক বিপণি তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। সূত্রের খবর, পুজোর আগেই এই বাংলার শাড়ির কিছু আউটলেট চালু করার জন্য উদ্যোগী রাজ্য সরকার। সেই কারণে নবান্নের তরফে দ্রুত জেলা প্রসাসনকে জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।পুজো মানেই শাড়ি কেনাকাটা। প্রতি বছর পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই ‘শপিং ফেস্টিভ্যাল’-এ মাতে বাঙালি। আর সেই সময় যাতে এই বিপণিগুলি থেকে সুবিধা পাওয়া যায় সেই জন্য পুজোর আগেই বাংলার শাড়ির আউটলেট চালু করার এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের ঘোষণা মোতাবেক বাংলার শাড়ির প্রথম দুটি বিপণি খুলতে চলেছে ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপন এবং অপরটি নিউ দিঘাতেই। স্বাভাবিকভাবেই যাঁরা পুজোর সময় শাড়ি কিনতে চান, তাঁদের জন্য নিঃসন্দেহে তা একটি বড় সুখবর। উল্লেখ্য, গোটা রাজ্যজুড়ে এই উদ্যোগ চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আর এই লক্ষ্যে জমি চিহ্নিত করতে আগ্রহী নবান্ন। জেলাগুলিতে চলতি সপ্তাহেই একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে নবান্নের তরফে। সেখানে জমি চিহ্নিত করে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এই উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন রাজ্যের শাড়ি শিল্পের কদর বাড়বে, তেমনই কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই আউটলেটগুলিতে কাজ করতে চলেছেন রাজ্য়ের ছেলে মেয়েরাই। ফলে বহু তরুণ-তরুণী কাজ পেতে চলেছেন।

একইসঙ্গে তাঁতিদের ব্যস্ততা কাজ বাড়বে। সবমিলিয়ে শিল্প, শিল্পী এবং বাণিজ্যের উন্নতির জন্য রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্পদফতরের এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা যাচ্ছে এই বাংলার শাড়ির আউটলেটে একদিকে যেমন দামী শাড়ি পাওয়া যাবে তেমনই ৩০০ টাকা মূল্যের শাড়িও মিলবে। ফলে মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রেও অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠতে পারে বাংলার শাড়ি, মনে করা হচ্ছে এমনটাই।

পুজোর আগে এই বিপণি কেন্দ্রগুলি চালু হলে বাণিজ্যিক দিক থেকেও বিস্তর লাভ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে মধ্যবিত্ত মহিলাদের কাছেও পুজোর অন্যতম শপিং ডেস্টিনেশন হিসেবে বাংলার শাড়ি-কে তুলে ধরা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *