Barasat Kazipara,মাত্র ১২০০ টাকার জন্য ভাইপোকে ‘খুন’! আঞ্জিবের চরম শাস্তির দাবি নিহতের পরিবারের – police has cracked the barasat kazipara child murder case


উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের কাজিপাড়ায় শিশু খুনের কিনারা করল পুলিশ। তাল বিক্রির মাত্র ১২০০ টাকার জন্য নিজের জ্যাঠা অঞ্জিব নবির হাতে তাঁদের ছেলেকে এই ভাবে খুন হতে হল তা ভাবতেও পারছেন না নিহত নাবালকের বাবা মা। ঘটনায় অপরাধীর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের বাবা মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।এই বিষয়ে নিহত নাবালকের বাবা গোলাম নবি বলেন, ‘আমার ছেলেকে ও (অঞ্জিব নবি) যে হত্যা করেছে, তা স্বীকার করেছে। ও মনে রাগ পুষে রেখে আমার সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমার বাবার একটা তালগাছ ছিল। ১২ টাকার তাল বিক্রি করেছিলাম, তাই নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। আমায় খুন করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু আমার সঙ্গে পারবে না বলে আমার ছেলেকে খুন করেছে। ওর যেন চরম শাস্তি হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই গুজব ছড়ানোর কাজও আমার দাদাই করেছে। কিডনি পাচার বা চোখ তুলে নেওয়ার গুজবও ও-ই ছড়িয়েছে। এই সমস্ত করে ও-ই মানুষকে উত্তেজিত করেছে।’

অন্যদিকে নিহত নাবালকের পিসি বলেন, ‘অঞ্জিবের আমার ভাইকে মারার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ওর সঙ্গে পারবে না ভেবে আমার ভাইপোকে প্রথমে ঘাড়ের কাছে মেরেছে। তারপর ওই বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ঝুলিয়ে গিয়েছে। আমরা অনেক জায়গায় খুঁজেছি। কিন্তু ওই জায়গায় খোঁজা হয়নি। ভাবতেই পারছি না আমার ভাই মাত্র ১২০০ টাকার জন্য এই কাজ করেছে। আমরা ওর চরম শস্তি চাই।’

এদিনই বারাসত পুলিশ জেলার এসপি প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া জানান, আঞ্জিব নবি ধর্মীয় স্থানকে ব্যবহার করে পুলিশকে আক্রমণ করার কথা এবং যাঁরা বাইরে থেকে এসেছেন সবাইকে আক্রমণ করার জন্য উস্কানি দেয়। অভিযুক্ত নিজে এই কথা স্বীকারও করেছে। খুনের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য গুজব ছড়ানোর যাবতীয় কাজও করেছে আঞ্জিব। এসপি আরও জানান, আঞ্জিবের উপরে প্রথমে পুলিশের সন্দেহ ছিল না। কিন্তু যখনই পুলিশ ওই এলাকায় ঢুকত গিয়েছে অঞ্জিব চলে আসত। স্পেশ্যাল টিম গেলেও সঙ্গে যাওয়ার চেষ্টা করত। আর তা থেকেই সন্দেহ হয় পুলিশের। আঞ্জিবই পুলিশকে ভুল পথে পরিচালনা করে বলে জানান এসপি। পারিবারিক একটা সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ও তাল বিক্রি নিয়ে বচসার জেরেই অঞ্জিব নিজের ভাইপোকে খুনের ছক কষে বলে জানায় পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *