Bardhaman Police,জঙ্গী যোগে STF-র জালে কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র – stf arrest bardhaman computer science student on suspicion of being a terrorist


এই সময়, দুর্গাপুর: জঙ্গি কার্যকলাপের নতুন মডিউল শাহাদাত-এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করল এসটিএফ। প্রতিবেশী বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের সঙ্গে যোগ রয়েছে শাহাদাত-এর। ধৃত যুবক মহম্মদ হাবিবুল্লা শেখের বাড়ি পানাগড়ের মিরেপাড়ায়। শনিবার বিকেলে সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাবিবুল্লাকে নিয়ে আনা হয় কাঁকসা থানায়। সেখানে তাকে দীর্ঘ সময় ধরে জেরা করেন এসটিএফ আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, জঙ্গিযোগ সন্দেহে বর্ধমানের নবাবহাট থেকে আরও ৫ জনকে আটক করেছে এসটিএফের অন্য একটি দল। তাদের মধ্যে রয়েছে ধৃত হাবিবুল্লার ভাই-ও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আটক ৫ জনের।

মিরেপাড়ার যুবক হাসিবুল্লা মানকর কলেজে কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। হাবিবুল্লার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। কাঁকসা থানায় ওই ল্যাপটপের নথি পরীক্ষা করা হয়। আনসার-আল-ইসলাম অতীতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে পরিচিত ছিল। ২০১৫ সালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে নাম বদল করে এই সংগঠনটি। এর পর ২০১৭ সালে আনসার-আল-ইসলাম সংগঠনটিকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার।

মেধাবী ছাত্র বলে এলাকায় পরিচিতি রয়েছে হাবিবুল্লার। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হাবিবুল্লা নিয়মিত ক্লাসে আসত না। হাবিবুল্লা যে কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে তা জেনে বিস্মিত এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে তার ভাইকেও আটক করা হয়েছে শুনে প্রতিবেশীদের কৌতূহল আরও বেড়েছে।

হাবিবুল্লার মাধ্যমে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে সংগঠন তৈরির চেষ্টা করছিল আনসার-আল-ইসলাম। কতদিন ধরে হাবিবুল্লা এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, কী ভাবে সংগঠনের কাজ সে করত তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা জানার চেষ্টা করছেন এসটিএফ আধিকারিকরা।

এর আগে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কাঁকসা থেকে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছিল এনআইএ। ২০১৬-র ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ কাঁকসার গোপালপুর উত্তরপাড়া থেকে একটি বেসরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আশিক আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছিল এনআইএ। পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআই-এর হয়ে তখন যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল আশিকের বিরুদ্ধে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *