Ranaghat Dakshin Assembly Constituency,বিধানসভায় জিতলেও লোকসভায় জয় অধরা, উপনির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণের মাথায় ফের ‘মুকুট’? – ranaghat dakshin assembly constituency bye election main fight between manoj kumar biswas and mukut mani adhikari


লোকসভা নির্বাচন সমাপ্ত। তবে সামনেই বিধানসভা উপনির্বাচন। আর রাজ্যে যে ৪টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে তার মধ্যে অন্যতম রানাঘাট দক্ষিণ। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই ওই কেন্দ্রে শুরু হয়ে গিয়েছে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি। লোকসভায় জিততে না পারলেও বিধানসভা উপনির্বাচনেও ফের একবার সেই মুকুটমণি অধিকারীর উপরেই আস্থা রেখেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে মনোজকুমার বিশ্বাসকে। আবার ওই কেন্দ্রে বাম প্রার্থী অরিন্দম বিশ্বাস। রানাঘাট দক্ষিণে বামেদের সমর্থন দিয়েছে কংগ্রেসেও।প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মুকুটমণি অধিকারী। এক্ষেত্রে শংকর সিংকে চেয়ারম্যান করে ভোটের লড়াইতে নেমেছে তৃণমূল। উল্লেখ্য গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে এই কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন মুকুটমণি। জয়ীও হয়েছিলেন। যদিও লোকসভা নির্বাচনের আগে যোগ দেন তৃণমূলে। তাঁকে প্রার্থীও করা হয়। যদিও জগন্নাথ সরকারের সামনে এবার জয় অধরাই থেকে যায় তাঁর।

অন্যদিকে আবার মনোজকুমার বিশ্বাসকে প্রার্থী করার পর ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়ে স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একাংশ বিক্ষোভও দেখিয়েছিল। এক্ষেত্রে মনোজের ভোট বৈতরণী পার করার দায়িত্ব পড়েছে দলেরই আরও এক বিধায়ক তথা রানাঘাট উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় উপরে। রাজনৈতিকমহলের একাংশ বলেছে এক্ষেত্রে মুকুটমণি ও মনোজের লড়াই কোথাও যেন একসময়ের ‘গুরু-শিষ্য’ শংকর সিং এবং পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যেও চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এমনকী সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলেও এই আসেন এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির। তাই সেই আসনকে নিজেদের দখলে রাখা বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করা হচ্ছে। আবার পালটা আসটি বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে মরিয়া তৃণমূলও।

রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র মূলত মতুয়া অধ্যুষিত এলাকা। তাই লোকসভা নির্বাচনের পর বিধানসভা উপ নির্বাচনেও এখানে সিএএ একটা ফ্যাক্টর হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ। তাছাড়া এই অঞ্চলের বেশকিছু জায়গার যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে এখনও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। ফলে সেটিও ভোটের একটি ইস্যু বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও নিজেদের জয়ের বিষয়ে অবশ্য আশাবাদী সমস্ত পক্ষই। এই বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে আমাদের কিছু ভুল ত্রুটি ছিল, সেগুলিকে শুধরে নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন প্রচার চলছে এবং প্রচারে যেভাবে সাধারণ মানুষের সাড়া পাচ্ছি তাতে জয় এক প্রকার নিশ্চিত।’ অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী মনোজ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস যে শংকর সিংয়ের উপরে দায়িত্ব দিয়েছে, তিনি ২০২১ সালের পরাজিত প্রার্থী। তাছাড়া শংকর সিংয়ের আর সেই গর্জন নেই। উপনির্বাচনে তাঁর দাঁত ভেঙে যাবে।’ এখন দেখার বাস্তবেই রানাঘাট দক্ষিণের মানুষ কাকে তাদের ঢালাও সমর্থন জানায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *