সম্প্রতি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বালুরঘাটগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসকে নিয়ে ছুটেছে ওই ‘জলদাপাড়া লোকোমোটিভ’। বিষয়টি স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে কাটিহার ডিভিশনের পক্ষ থেকে। তাই লক্ষ্য করে আলোড়ন তৈরি হয়েছে নেটপাড়ায়। রেলের ওই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বনাধিকারিক থেকে প্রকৃতিপ্রেমিক ও সাধারণ মানুষেরা।
কেন রেলের ওই অভিনব পদক্ষেপ?
তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে অসমের মালিগাঁও থেকে বলেন, ‘জলদাপাড়া ও তার অন্যতম আকর্ষণ তো শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট রাজ্যের হেরিটেজ হতে পারে না। গন্ডার সংরক্ষণে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান দেশের মধ্যে অন্যতম দিশারী। তাই ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ওই উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিতে লোকোমোটিভটির নামকরণ করা হয়েছে ‘জলদাপাড়া’। আর ইঞ্জিনটি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট রুটে আবদ্ধ থাকবে না। জলদাপাড়ার বার্তা নিয়ে ছুটবে দেশের নানান প্রান্তে। আর ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুসারে একটি লোকোমোটিভের নামকরণ একবারই করা হয়। দ্বিতীয় কোনও ইঞ্জিনে ওই নামকরণ করা হবে না।’

একশৃঙ্গ গন্ডারের ছবি আঁকা ইঞ্জিন
বিষয়টি জেনে জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান বলেন, ‘আমরা রেলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। যা একশৃঙ্গ গন্ডারের সংরক্ষণের প্রশ্নে ও মানুষকে সচেতন করার ক্ষেত্রে নতুন বার্তা বয়ে নিয়ে যাবে।’
আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘জলদাপাড়া ও একশৃঙ্গ গন্ডার দেশের অমূল্য রত্ন। তাকে যে ভাবে ভারতীয় রেল স্বীকৃতি দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে এক অভিনব পদক্ষেপ।’