Rooftop Cafe In Kolkata,রুফ-টপ ক্যাফে: দমকল ও পুরসভাকে সতর্কবার্তা পুর-দপ্তরের – kolkata municipal warning fire department for safety rooftop cafe in city


বাগুইআটির একটি রুফ-টপ ক্যাফেতে আগুন লেগেছিল সম্প্রতি। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে হতভম্ব হয়ে যান দমকলের কর্মীরা। কারণ ওই ক্যাফে যে ছাদের উপর, তার চারপাশ ছিল পুরোপুরি টিন দিয়ে ঘেরা। অভিযোগ, আগুন নেভানোর ন্যূনতম ব্যবস্থাও ছিল না সেখানে।কলকাতা তো বটেই, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা শহরেও ব্যাঙের ছাতার মতো ক্রমশ গজিয়ে উঠছে রুফ-টপ ক্যাফে বা রেস্তোরাঁ। পুর দপ্তর সূত্রের খবর, দু’বছর আগেও কেএমডিএ এলাকায় এ ধরনের ক্যাফে বা রেস্তোরাঁর সংখ্যা ছিল ৭২। বর্তমানে সেটাই ৩০০-র আশপাশে! কম খরচে বেশি রোজগারের আশায় অনেকে শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স সম্বল করেই ছাদে এই ব্যবসা খুলে ফেলেছেন।

বাগুইআটির ক্যাফের মতো যেখানে সুরক্ষাবিধির কোনও বালাই নেই। পুরদপ্তর চাইছে, এই প্রবণতা ঠেকাতে দমকল বিভাগ এবং পুরসভাগুলি কঠোর হোক। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সেটাই পুরসভাগুলিকে এবং দমকলকে দেখতে বলা হয়েছে।’

সরকারি সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্যের পুরসভাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ক্যাফে বা রেস্তোরাঁ খোলার আর্জি জানিয়ে কেউ ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করলে সবটা ভালো করে খতিয়ে দেখতে হবে। বর্তমানে কতগুলি রুফ-টপ ক্যাফে বা রেস্তোঁরা চলছে, তার তালিকাও করতে বলা হয়েছে। দমকলকে নিয়ে ওই ক্যাফে-রেস্তোরাঁগুলিতে অবিলম্বে ফায়ার অডিট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভাগুলিকে।

রুফ-টপ নির্দেশিকা

এ জন্য দমকলকে বলা হয়েছে পুরসভাগুলিকে সব রকম সহযোগিতা করতে। কোথাও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না-থাকলে নিতে হবে আইনি ব্যবস্থা। রুফ-টপ ক্যাফের তালিকা দমকলকে দেবে পুরসভা। সেইমতো দমকল গিয়ে ছাদে ফাঁকা জায়গা, পৃথক সিঁড়ি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে।

কেমন কাজ হয়েছে পুরসভায়, রিপোর্ট চায় সরকার

রুফ-টপ ক্যাফেতে অগ্নিকাণ্ড হলে লোকজন বের করে আনা খুব মুশকিল। কারণ এ ধরনের ক্যাফে বা রেস্তোরাঁয় সাধারণত চারপাশ ঘিরে ডেকরেশন করা হয়। তাই পর্যাপ্ত সুরক্ষাবিধি নিশ্চিত করতে চান পুরকর্তারা। সরকারি সূত্রের খবর, ছাদের উপর তৈরি এই ধরনের ক্যাফে বা রেস্তোরাঁয় বেনিয়ম ধরা পড়লে জরিমানার সংস্থান রয়েছে।

কিন্তু কারাবাসের বিধান নেই। সে কারণে ব্যবসায়ীদের একাংশ সুরক্ষাবিধিতে গুরুত্ব দেন না বলে মনে করেন পুর-অফিসারেরা। তাই কড়া আইন আনার বিষয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *