কয়েকদিন আগেই বদলি হয়ে তিনি নদিয়ার ভীমপুরে চলে আসেন। মালদায় থাকাকালীন ওখানে প্রচুর ছেলেমেয়েকে অর্থের বিনিময়ে সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি চাকরি করতে অনিচ্ছুক হলেও তাঁর নাম সরকারি ওয়েবসাইটে তুলে দিয়ে দাবি করেছেন লক্ষাধিক টাকা। মলদায় এক যুবক টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকেও হুমকি দেওয়া হয়। সেই যুবক থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকেই বাড়ি থেকে উধাও সেই শিক্ষক।
তাঁর বাড়িতে গেলে জানা যায় সন্ধ্যার পরেই তাঁর বাড়িতে প্রচুর লোকের আনাগোনা লেগে থাকত। লেনদেন হতো লক্ষাধিক টাকার। অসৎ উপায়ে অর্জন করা টাকায় নেশ করে বুধ হয়ে থাকতেন পরিমল কুণ্ডু। এই নেশার জেরে তার স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বছর খানেক আগে চলে যান বাবার বাড়িতে। একা ঘরেই তাঁর এই অসৎ উপায়ের স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পরিমল কুণ্ডু।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান এবং বাসিন্দারা এটা শুনে অবাক হচ্ছেন যেখানে মানুষ দিনের পর দিন পরিশ্রম করে চাকরি পাচ্ছে না সেখানে একটি ফোনেই আর কিছু টাকার বিনিময়ে কী ভাবে মিলছে সরকারি চাকরি? এলাকাবাসী সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ এখন এই বিষয় নিয়েই উদ্বিগ্ন।
ভীমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বাপ্পাদিত্য বিশ্বাস বলেন, ‘ সংবাদ মাধ্যমে জানলাম অর্থের বিনিময়ে এরকম চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলতো। অনেককে হুমকি দিত। এটা খুবই খারাপ কাজ। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ওর বাড়িতে অনেক লোকজন আসত দেখতাম। কীসের জন্য আসত সেটা আমরা জানি না। কিছুদিন আগে থেকেই দেখছি উনি বাড়িতে আর নেই। কোথায় গিয়েছেন, সেটাও জানি না।’
