রাজ্যব্যাপী উচ্ছেদ অভিযানের মাঝে খোয়াইয়ে অবৈধ নির্মাণ, রুখে দিলেন স্থানীয়রা – illegal construction near sonajhuri khowai stopped by santiniketan police


অবৈধ নির্মাণ, জবরদখল করা জমি নিয়ে কড়া বার্তা শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক জেলায় প্রশাসনের উদ্যোগে এবং পুরসভার সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযান চলছে গোটা রাজ্য জুড়েই। এর মধ্যে বোলপুরে বল্লভপুর অভয়ারণ্য সংলগ্ন খোয়াইয়ে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠে আসছিল। রুখে দিলেন এলাকাবাসীরা।বোলপুর পুরসভার ৩নং ওয়ার্ডে বল্লভপুর অভয়ারণ্য সংলগ্ন খোয়াইয়ে অবৈধ নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছিল। বুধবার বল্লবপুর অভয়ারণ্য সংলগ্ন স্থানে পাঁচ বিঘা জমিতে মাটি ভরে অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ চলছিল। সেই খবর পাওয়ার পরই এলাকায় এসে পৌঁছন স্থানীয়রা। অবৈধ নির্মাণ বন্ধের ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু করেন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের।

পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ও শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নির্মাণ কাজ আটকে দেন। উল্লেখ্য, দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে শান্তিনিকেতনের খোয়াই সহ ১১ টি মৌজায় নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এই বিষয়ে আদালতে মামলা করেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী। কিন্তু তারপরও এদিন অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতনে বিভিন্ন এলাকাতে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে সরকারি জমি দখল করে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার।

খোলনলচে বদলাচ্ছে সোনাঝুড়ির হাটের

বিষয়টি নিয়ে বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে এখনও কোনও খবর নেই। আমি স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলে দেখব। বিষয়টি জানলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ধর্মেন্দ্র সিংয়ের সুপারভাইজার গৌরাঙ্গ মণ্ডল জানান, এই নির্মাণ নিয়ে কাউন্সিলরের কাছে একটি অভিযোগ জমা পড়ে। কাউন্সিলর তাঁকে গিয়ে এই কাজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বলতে বলে। তিনি তদারকি করে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। জেসিবি দিয়ে ড্রেসিং করার কাজ হচ্ছিল। সেটি তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

New Market Kolkata : ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে দিনভর শহরে হকার উচ্ছেদ, বাদ গেল না নিউমার্কেটও
শান্তিনিকেতনের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে সোনাঝুরির খোয়াই হাট। সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে এখানে। খোয়াই রক্ষা কমিটি তৈরি করা হয় এই জায়গাটিকে নির্মাণ কার্যের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য। ২০ বছর আগে বন দফতরের এই জায়গায় হাট চালু হয়। স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা এবং হস্তশিল্পীদের উদ্যোগে এই হাট চালু করা হয়। প্রতি দিন হাটে কয়েক হাজার মানুষের আনাগোনা হয়। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্রের জন্য ওই এলাকার জঙ্গল নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগেই জঙ্গল বাঁচাতে খুঁটি দিয়ে জমি চিহ্নিতকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করল বন দফতর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *