পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ও শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নির্মাণ কাজ আটকে দেন। উল্লেখ্য, দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে শান্তিনিকেতনের খোয়াই সহ ১১ টি মৌজায় নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এই বিষয়ে আদালতে মামলা করেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী। কিন্তু তারপরও এদিন অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতনে বিভিন্ন এলাকাতে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে সরকারি জমি দখল করে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার।
বিষয়টি নিয়ে বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে এখনও কোনও খবর নেই। আমি স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলে দেখব। বিষয়টি জানলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ধর্মেন্দ্র সিংয়ের সুপারভাইজার গৌরাঙ্গ মণ্ডল জানান, এই নির্মাণ নিয়ে কাউন্সিলরের কাছে একটি অভিযোগ জমা পড়ে। কাউন্সিলর তাঁকে গিয়ে এই কাজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বলতে বলে। তিনি তদারকি করে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। জেসিবি দিয়ে ড্রেসিং করার কাজ হচ্ছিল। সেটি তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শান্তিনিকেতনের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে সোনাঝুরির খোয়াই হাট। সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে এখানে। খোয়াই রক্ষা কমিটি তৈরি করা হয় এই জায়গাটিকে নির্মাণ কার্যের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য। ২০ বছর আগে বন দফতরের এই জায়গায় হাট চালু হয়। স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা এবং হস্তশিল্পীদের উদ্যোগে এই হাট চালু করা হয়। প্রতি দিন হাটে কয়েক হাজার মানুষের আনাগোনা হয়। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্রের জন্য ওই এলাকার জঙ্গল নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগেই জঙ্গল বাঁচাতে খুঁটি দিয়ে জমি চিহ্নিতকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করল বন দফতর।