প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে শ্রীকান্ত দত্ত নামে এক আইনজীবীর করা জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা পুরসভা এলাকায় বেআইনি দখলদারি ও হকারদের সরানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বেআইনি দখলদারি ও হকারদের সরানোর নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা পুরসভার বেশ কিছু এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানও চালানো হয়। গত বছর ডিসেম্বর মাসেও বিষয়টি নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। তবে, কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের একই চিত্র দেখা যায় নিউ মার্কেট থেকে গড়িয়াহাট সব জায়গাতেই।
মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশে এবার উঠে পড়ে লেগেছে রাজ্যের বেশিরভাগ পুরসভা। কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য পুরসভা এলাকাতেও দিনভর চলছে উচ্ছেদ অভিযান। কলকাতা, বিধাননগর থেকে আসানসোল, শিলিগুড়ি পুরনিগম— সব জায়গাতেই দখলমুক্তি অভিযান শুরু হয়েছে। সরকারি জমিতে তৈরি হওয়া অবৈধ নির্মাণও ভেঙে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। উচ্ছেদ অভিযান প্রক্রিয়া সম্বন্ধে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, ‘ সরকারি নির্দেশে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি নির্মাণ, ফুটপাথ দখল করে থাকা হকারদের অভিযান চলছে। এই ধরনের অভিযান যেমন চলছে, তেমন চলতে থাকবে।’
তবে, ফুটপাথের দোকানগুলোতে রুজি-রুটি চলার কারণে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন হকারদের একাংশ। ‘এরপর কী হবে?’ সেই ভাবনা জড়ো হচ্ছে হকারদের মনে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার ফের বৈঠকে বসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পুলিশকর্তা এবং রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বৃহস্পতিবার বৈঠক করবেন তিনি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি জমি দখলদারি, সরকারি জমিতে অবৈধ নির্মাণ, হকারদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট নিতে পারেন তিনি। নতুন কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন সরকারি মহলের একাংশ।