সংশোধনাগার কতৃপক্ষ আজ সকাল ৯.৩০ মিনিট নাগাদ কড়া পুলিশি ঘেরাটোপে তাঁকে নিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। তারপর ইন্টারভিউ হয়ে যাওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে নিয়ে চলে যায় সংশোধনাগার কতৃপক্ষ।
অর্ণব পশ্চিম মেদিমীপুরের শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে হামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সাজা ঘোষণার পর প্রথমে পশ্চিম মেদিনীপুর জেল তারপর গত ১৭ মার্চ থেকে হুগলি জেলা সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি। জেলে তিনি পিএইচডি করার সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। বিচারক সেটা তাঁর আদেশে নথিভুক্তও করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে তা বিবেচনা করতে বলেছিলেন। কিন্তু জেলে আসার পর কেউ তার আবেদনকে বিশেষ সাড়া দেয়নি বলে অভিযোগ। সেজন্য অর্ণব অনশন শুরু করবেন ঘোষণা করেন। এপিডিআর নাম একটি মানবাধিকার সংগঠন অর্ণবের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে হুগলি জেল কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়।
কারা কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেওয়ায় ইন্টারভিউর ব্যবস্থা হয়। আজ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে মৌখিক ইন্টারভিউ দেন। হুগলি সংশোধনাগার সূত্রে খবর, জেলের ভিতরে লাইব্রেরি আছে সেখান থেকে বই নিয়ে পড়াশোনা করেন অর্ণব। মৌখিক ইন্টারভিউতে পাশ করলে তিনি ইতিহাসে গবেষণা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গারদের ভেতর থেকেই অর্ণব প্রথম শ্রেণিতে ইতিহাসে স্নাতক হন। এরপর স্নাতকোত্তরেও ৬৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে পাশ করেন তিনি। উত্তীর্ণ হন সেট পরীক্ষাতেও। ১৯৯৮ সাল নাগাদ তৃতীয় বর্ষে পড়াকালীন খড়্গপুর আইআইটি-র পাঠ অসমাপ্ত রেখে অর্ণব যোগ দেন মাওবাদী সংগঠনে। পুরুলিয়া-ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ে-জঙ্গলে ডেরা ছিল তাঁর। সংগঠনে ‘ভানু’, ‘সূর্য’, ‘মাস্টারদা’ নামেও ডাকা হতো অর্ণবকে। ‘কমরেড বিক্রম’ নামেও পরিচিত ছিলেন মাওবাদী সংগঠনের সদস্যদের কাছে।