স্পিকার আরও বলেন, ‘রাজ্যপাল জেনেশুনে একটা চ্যালেঞ্জ দিচ্ছেন মনে হয়। এটা ঠিক করছেন না। ওঁর বোঝা উচিত ছিল, এঁরা বিধানসভার সদস্য হচ্ছেন। বিধানসভায় শপথগ্রহণ করানোটাই উপযুক্ত হত।’ এই প্রসঙ্গে লোকসভার শপথগ্রহণের উদাহরণ নিয়ে আসেন স্পিকার। এখানেই শেষ নয়, স্পিকার আরও বলেন, ‘যদি শপথগ্রহণ না হয়, তাহলে তাঁরা বিধানসভার ভিতরে বসতে পারবেন না। কিন্তু তাঁদের যে সংসদীয় কাজ, যাঁরা ওঁদের ভোট দিয়ে পাঠিয়েছেন, তাঁদের জন্য যে কাজ করার, সব তাঁরা করতে পারবেন। সেটা আমাদের রুলেও পরিষ্কারভাবে বলা রয়েছে।’ স্পিকার স্পষ্ট জানান, এই বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে ও কার কতটা এক্তিয়ার জানার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ী দুই প্রার্থীর বিধায়ক হিসেবে শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতা এখনও অব্যাহত। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বরানগর ও ভগবানগোলার দুই জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেনকে রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করাতে অনড়। যদিও জোড়াফুলের দুই জয়ী প্রার্থী বুধবার রাজভবনে গিয়ে শপথ নিতে রাজি নন। এই বিষয়ে সায়ন্তিকা ও রেয়াত, উভয়েই মঙ্গলবার বিকেলে ফের চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল বোসকে বিধানসভায় এসে শপথবাক্য পাঠ করানোর আবেদন জানান। চিঠিতে তাঁরা লেখেন, ‘আপনি বিধানসভায় আসুন, বিধানসভায় আপনার কাছে শপথগ্রহণ করব।’ যদিও বুধবার দুপর পর্যন্ত বিধানসভায় দেখা পাওয়া যায়নি রাজ্যপালের। পরিবর্তে এদিন বিধানসভা সিঁড়িতে বসে থাকতে দেখা যায় এই দুই জয়ী প্রার্থীকে। তাঁদের হাতে দেখা যায় প্ল্যাকার্ড। সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘শপথের জন্য রাজ্যপালের পৌঁছনোর অপেক্ষায় রয়েছি।’