Cyber Fraud,বারাসতের স্কুল শিক্ষিকার মোবাইলে অশ্লীল ছবি পাঠিয়ে হুমকি, তদন্তে পুলিশ – cyber fraud with barasat school headmistress using some obscene pictures


হোয়াটসঅ্যাপে হঠাৎ এল কিছু অশ্লীল ছবি। তাও আবার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার মোবাইলে। ছবিগুলো দেখেই আঁতকে ওঠেন শিক্ষিকা। এখানেই শেষ নয়। সেই ছবি দেখিয়ে চাওয়া হচ্ছে মোটা টাকা। সুবিচারের আশায় থানার দ্বারস্থ বারাসত কালীকৃষ্ণ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।সাইবার প্রতারণা প্রতিদিন বাড়ছে শহরে। কোনওভাবে কাউকে ফাঁসাতে পারলেই মোটা টাকা রোজগারের আশায় প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে অনেকেই। এবার সেই প্রতারণা শিকার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ হঠাৎই বারাসাত কালীকৃষ্ণ বালিকা বিদ্যালয়-এর প্রধান শিক্ষিকার হোয়াটসঅ্যাপে কিছু অশ্লীল ছবি পাঠানো হয়। সেই অশ্লীল ছবির বিনিময়ে টাকাও দাবি করা হয়। একটি নির্দিষ্ট নম্বর থেকে আসা হোয়াটসঅ্যাপে ছবি এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ। ছবিগুলি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা চাওয়া হয়।

প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্ত জানান, সেই ছবি সম্পূর্ণভাবে এডিট করে তবে প্রাক্তন কিছু ছাত্রীর মুখ বসিয়ে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর তিনি তৎক্ষণাত বারাসত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও মোবাইল নম্বর যাচাই করে দেখা যায় +৯২ সম্পূর্ণভাবে একটি পাকিস্তানি কোড নম্বর। তবে কি ম্যাডামের কাছে এসে থাকা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে হুমকি কোনোভাবে পাকিস্তান থেকে কেউ করে পাঠিয়েছে?

ছোট্ট ভুলে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা, টাকা ফেরালেন পুলিশ

প্রধান শিক্ষিকা জানান, এই কাজগুলি যে বা যারা করছে, সে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ম্যাডামকে চেনেন। ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয় খোঁজখবর রেখেছেন। তবে পাকিস্তান থেকে ভারতবর্ষের বারাসাত শহরের স্কুল শিক্ষিকার খোঁজ কী ভাবে সম্ভব তা নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন? নাকি, ভুয়ো সিম ব্যবহর করে এই চক্র চালানো হচ্ছে? তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। বারাসাত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘এই অশ্লীল কাজকর্মের সঙ্গে যে বা যারা যুক্ত তার কঠিন শাস্তি চাইছি। এরকম ঘটনা যাতে অন্য কারোর সঙ্গে না ঘটে তার জন্য খুব দ্রুততার সঙ্গে গ্রেফতারের দাবি জানাব।’

সাইবার প্রতারণার পর্দাফাঁস, টাকা ফেরত প্রতারিতদের, বড়সড় সাফল্য মধ্যমগ্রাম থানার
যে নম্বর থেকে এই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো হয়েছে, সেটা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে কেন টার্গেট করা হল? কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। দ্রুত দোষীদের ধরা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *