Kolkata Metro,গঙ্গার তলায় এবার আরও ভালো মোবাইল যোগাযোগ, দুর্দান্ত উদ্যোগ মেট্রোরেলের – kolkata underwater metro trying to enhancing their mobile connectivity


যাত্রীদের সুবিধার্থে বারেবারেই বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ করে কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এবার যাত্রীদের জন্য আরও এক সুখবর। গঙ্গার তলায় মেট্রো পরিষেবায় আরও ভালো হতে চলেছে মোবাইল যোগাযোগ। বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মেট্রোরেল জানাচ্ছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশটি ইতিমধ্যেই যাত্রীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই হাজার হাজার যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি অতি অল্প সময়ে শহর ও সংলগ্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য এই রুটটি ব্যবহার করছেন। তাঁদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবাও রাখা হয়েছে এই রুটে। এবার নদীর তলদেশে মেট্রো যাত্রাকে আরও মনোরম ও আনন্দদায়ক করে তুলতে মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের চেয়েও মজবুত করার চেষ্টা হচ্ছে।

এবার আরও ভালো মোবাইল নেটওয়ার্ক

হুগলি নদীর নীচে মেট্রো যাত্রীদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন টেলিফোন সংযোগ নিশ্চিত করতে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ইতিমধ্যেই ইনস্টল করা হয়েছে। একটি টেলিকম সংস্থা ইতিমধ্যেই সেই কাজ করেছে। এবার আরও একটি সংস্থা এগিয়ে এসেছে। তারাও হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত এই ৪.৮ কিলোমিটার রুটের প্রতিটি স্টেশনে উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন নোড ইনস্টল করেছে। গ্রিন লাইন ১-এর মতো, এই পথেও ইতিমধ্যেই যাত্রীরা ৫জি স্পিড, নিরবচ্ছিন্ন ভয়েস কল এবং ডেটা ট্রান্সমিশন উপভোগ করতে পারছেন। এবার তা আরও ভালো হতে চলেছে। এর ফলে নদীর তলদেশে যাত্রীদের সফর আরও আনন্দদায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কয়েক মাস আগেই চালু পরিষেবা

উল্লেখ্য, গ্রিন লাইনে কয়েক মাস আগেই গঙ্গার তলা দিয়ে হাওড়া ময়দান ও এসপ্ল্যানেডের মধ্যে শুরু হয়েছে মেট্রো পরিষেবা। আর এই পরিষেবা চালু হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক উৎসাহ দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কারণ এর ফলে অনেক সহজেই হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা গিয়েছে। এতে একদিকে যেমন অত্যন্ত অল্প সময়ে কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে যাতায়াত করা যাচ্ছে, তেমনই যাত্রাপথও হচ্ছে আরামদায়ক। তাই যাত্রীদের প্রবল ঝোঁক দেখা দিয়েছে এই মেট্রো ব্যবহারের ক্ষেত্রে।

কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ মনে করছে, বর্তমানে ইন্টারনেট যোগাযোগ সবক্ষেত্রেই অত্যন্ত মজুবত থাকা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে নদীর তলাতেও যাতে যাত্রীরা ভালোমানের ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে পারেন, সেই কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *