বুধবার জ়েডএসআই-এর প্রথম মহিলা ডিরেক্টর ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শুধু ২০২৩ সালে গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৬০০-র বেশি প্রজাতির প্রাণী এবং ৩০০-র বেশি প্রজাতির উদ্ভিদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এখান থেকেই বোঝা যায় ভারত এখনও জীববৈচিত্র্যের স্বর্গরাজ্য।’ ডিরেক্টর বলেন, ‘ইউরোপে কিন্তু এমন হয় না। ওখানকার বিজ্ঞানীরা মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকায় গিয়ে নতুন প্রজাতির খোঁজ পান।’
৩০ জুন জ়েডএসআই দিবসে একই সঙ্গে প্রকাশ করা হবে লক্ষদ্বীপের জীববৈচিত্র্যের তালিকা, হোভারফ্লাই এবং ভারতে পাওয়া যায় এমন মাছির এ পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া সব রকমের প্রজাতির ক্যাটালগ, পশ্চিমঘাট পর্বতমালা অঞ্চলে পাওয়া মথ ও প্রজাপতির তালিকা, গোয়া অঞ্চলে পাওয়া যায় এমন পাখিদের বৈচিত্র্য এবং দেশের বিভিন্ন জলাশয়ে পাওয়া মাছ-মানচিত্রও।
এর পাশাপাশি আফ্রিকার দেশ ঘানার সঙ্গে একযোগে জ়েডএসআই একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগে সামিল হয়েছে। সেই উদ্যোগ পিঁপড়েখোর জন্তু প্যাঙ্গোলিনের চোরাশিকার এবং পাচার আটকানোর। ৩০ জুনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসার কথা ঘানা ওয়াইল্ডলাইফ সোসাইটির প্রতিনিধিদেরও।
ধৃতি বলেন, ‘আমরা নতুন যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে লন্ডন ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটির সঙ্গে। আমরা দেখেছি, আমাদের দেশে একসময়ে পাওয়া যেত প্রাণীর এমন বহু প্রজাতির এখন দেখা মেলে না। আমাদের কাছে ওদের কোনও নমুনাও নেই। কিন্তু লন্ডনে নমুনা আছে। আমরা সেই নমুনার ডিজিটাইজ়ড ছবি নিয়ে আসব।’