শনিবার প্রথম কানাডার উদ্দেশে পাড়ি দিচ্ছে তাঁর তৈরি দুর্গা প্রতিমা। কানাডার উদ্দেশে যে প্রতিমাটি পাঠানো হচ্ছে সেটি ফাইবার গ্লাস দিয়ে তৈরি। চালচিত্র নিয়ে প্রতিমার উচ্চতা নয় ফুট। শুক্রবার তাই শিল্পীর কারখানায় শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। কাঠ আর প্লাইউডের বাক্সে প্রতিমা সেট করে প্যাকিং করতে হয় শিল্পীদেরই। সে সব খুঁটিয়ে দেখে নিলেন শিল্পী। সুনিপুণ শিল্পকর্মের জলজ্যান্ত উদাহরণ প্রতিটি মূর্তি। তবে, প্যাকেজিং-এ বাড়তি নজর দেওয়া হয়, যাতে যাত্রাপথে প্রতিমার কোনও ক্ষতি না হয়ে যায়।
মূলত ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারিতেই বিদেশ থেকে প্রতিমার অর্ডার চলে আসে। এপ্রিল, মে ও জুন মাসে সেসব অর্ডারের কাজ একে একে শেষ করে ফেলেন শিল্পীরা। শিল্পী মিন্টু পালে এবার অনেক বেশি ঠাকুরই বিদেশ থেকে অর্ডার এসেছে। তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অর্ডার হল স্পেনের ১০ ফুটের ঠাকুর। বিদেশের মাটিতে যে সমস্ত দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দেবে শিল্পী মিন্টু পালের হাত ধরে তার মধ্যে স্পেনের দশ ফুটের উচ্চতা বিশিষ্ট এই দুর্গা প্রতিমাই সবথেকে বড় বলে জানাচ্ছেন শিল্পী। এবার প্রথম দুবাই থেকেও প্রতিমার বায়না পেয়েছেন তিনি।
এছাড়াও কানাডা, নিউ ইয়র্ক থেকে শুরু করে জার্মান, জাপান বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকেই তার কাছে অর্ডার এসেছে। দুর্গা প্রতিমার অর্ডার এসেছে আমেরিকা, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড এমনকি দুবাই থেকেও। শিল্পী বলেন, ‘বিদেশে মূলত সাবেকিয়ানা, টানা চোখের প্রতিমা চান সকলে। সেভাবেই মূর্তি তৈরি করা হয়েছে।’