Haldia Port,হলদিয়া বন্দরে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদের চেষ্টা, পালটা বিক্ষোভ বাসিন্দাদের, তুমুল উত্তেজনা – evacuation campaign at haldia port area against illegal slum residents


শহর কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ দোকান, পসরা সাজিয়ে বসা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। এরই মাঝে এবার উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে উত্তেজনা হলদিয়া বন্দর এলাকায়। হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে তাদের জায়গায় ঝুপড়ি করে থাকা মানুষজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই ঘোষণার পর শুক্রবার সকালে হলদিয়া পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের টাউনশিপ এলাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান করতে গেলে বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের। যার জেরে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

পুনর্বাসনের দাবি বস্তিবাসীদের

এই বিষয়ে শেফালি দাস নামে এক মহিলা বলেন, ‘এখানে ৪০ বছর ধরে বসবাস করছি। এখান ছেড়ে কোথায় যাব? আমাদের পুনর্বাসন দিক, আমরা চলে যাব। নয়তো বর্ষাকালে কোথায় যাব?’ আরও এক মহিলা বলেন, ‘আমরা কেউ ৪০ বছর, কেউ ৫০ বছর এখানে আছি। আমাদের সবকিছু এখানে। আমাদের জায়গা জমি, ঘরবাড়ি কিছুই নেই। আমরা কোথায় যাব? এই বয়সেও কাজ করে খাই। আমাদের একটা পুনর্বাসন দিক, আমরা চলে যাব।’ শেফালি বর নামে আরও এক মহিলার কথায়, ‘আমাদের ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা চলছে। এখন উঠিয়ে দিলে কোথায় যাব? সামনেই বর্ষা, আমাদের পুনর্বাসন দিতে হবে।’

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ

এদিকে পুনর্বাসনের পক্ষে সওয়াল করেছেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর আজগর আলি। তিনি বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করছে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কালা নির্দেশ আমরা মানব না। যদি কোনও বিষয় থাকে আলাপ আলোচনার জন্য তৈরি। তবে পুনর্বাসন দিয়ে উচ্ছেদ করতে হবে। এখন বর্ষাকাল, প্রায় দুই পুরুষ ধরে এরা এখানে বসবাস করছে। সেই পরিবারগুলোকে অন্যায়ভাবে তুলতে এসেছে।’ প্রাক্তন কাউন্সিলরের সাফ কথা, ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কালা নির্দেশ, বিজেপি দালালি করা অর্ডার, টাকা দিয়ে কেনা নির্দেশ আমরা মানব না।’ তাঁর সাফ দাবি, এখন ওই বস্তিবাসীরা যেমন আছে, তাদের তেমনই থাকতে দিতে হবে। আগামীদিনে পুনর্বাসন দিয়ে তবে তাদের তুলতে হবে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনওরকম মন্তব্য করতে চায়নি।

এদিকে ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী। কোনওভাবেই যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে না যায়, সেই দিকে নজর রেখেছে পুলিশ প্রশাসন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *