উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত মার্চ মাসে কবি সুভাষ এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত অংশের পরিষেবার উদ্বোধন করেন। অরেঞ্জ লাইনের মোট ২৮.৯০ কিলোমিটার করিডোরের অগ্রগতি সুচারুভাবে চলছে বলেই জানা গিয়েছে। বাইপাসের ট্র্যাফিক জ্যাম কমাতে এবং নিউ টাউন এবং রাজারহাটের মতো এলাকাগুলির সঙ্গে কলকাতার অন্যান্য অংশের যোগাযোগ বাড়াতে আগামীদিনে এই লাইনটি বিশেষ কার্যকরী হয়ে উঠবে বলেই আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে নিউ টাউন থেকে এয়ারপোর্ট অংশের কাজেরও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে খবর। মেট্রোর ওই কর্তা একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আইটি হাব থেকে সিটি সেন্টার-২, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নব্বই শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ইলেক্ট্রিক, সিগন্যাল ও টেলিযোগাযোগের কাজ চলছে।’
এই করিডোরে মোট ১০টি স্টেশন থাকছে, যা আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে স্থানীয় শিল্প ও সংস্কৃতিকে মিলিয়ে মিশিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। এই স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের সুবিধার জন্য রয়েছে এসকেলেটর, লিফট, সিঁড়ি, পানীয় জলের সুবিধা, শৌচাগার, আধুনিক প্ল্যাটফর্ম, সেলফ টিকিটের জন্য স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন (ASCRM), পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, জরুরি আলো, এবং আরও অনেক কিছু।
উল্লেখ্য, যাত্রীদের সুবিধার্থে বারেবারেই বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ করে থাকে কলকতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এবার যাত্রীদের জন্য আরও এক দুর্দান্ত খবর। গঙ্গার তলার মেট্রোয় আরও ভালো হতে চলেছে মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েও দেওয়া হয়েছে মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে। এর ফলে নদীর তলাতেও খুব সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা।