প্রতিটি রেককেই ১২ কামরার করে তোলার পথে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল শিয়ালদহের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য। রেলের আধিকারিকদের হিসেব, ব্যস্ত সময়ে একটি ট্রেনের এক একটি কামরায় ৩৫০-এর কাছাকাছি যাত্রীর জায়গা হয়। সেই হিসেবে একটি ৯ কামরার ট্রেনে যত যাত্রীর জায়গা হয় তার চেয়ে একটি ১২ কামরার ট্রেনে অন্তত ১ হাজার যাত্রী বেশি উঠতে পারেন।
ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় কমানোর জন্যই শিয়ালদহ থেকে শুধুই ১২ কামরার ট্রেন ছাড়ার পরিকল্পনা করা হয়। এই কাজের জন্য শিয়ালদহে এক দফায় প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ, এক দফায় সিগন্যাল এবং ওভারহেড তারের লে-আউট বদল এবং শেষ দফায় প্ল্যাটফর্মগুলোয় ১২ কামরার ট্রেন ঢোকা-বেরোনোর মহড়া দেওয়ার কাজ চলে।
শিয়ালদহের ডিআরএম দীপক নিগম বলেন, ‘আমরা ডেডলাইন পূর্ণ করতে পেরেছি। যাত্রীদের অনেক ঝামেলা সহ্য করতে হয়েছে। সেজন্য এদের ধন্যবাদ প্রাপ্য।’