এদিন সে ভাবে বৃষ্টি না হলেও দক্ষিণবঙ্গের অপেক্ষার দিন শেষ হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কয়েক দিন আগেই পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটিওরোলজির জলবায়ু বিশেষজ্ঞ পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত বা একটা নিম্নচাপের মতো কোনও ‘ওয়েদার সিস্টেম’ তৈরি না হলে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হতে পারছে না।’
মৌসম ভবন জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সেই ‘ওয়েদার সিস্টেম’ তৈরি হয়েছে সমুদ্রে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গ, ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং আরও কিছু জায়গার বৃষ্টিভাগ্য খুলতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
হাওয়া অফিস-সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সপ্তাহের শেষ দিকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরুর সম্ভাবনা।
এর মধ্যে শনিবার দক্ষিণের মোট ১৫টি জেলার মধ্যে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবারও দক্ষিণের তিন জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। আজ, শুক্রবার কলকাতায় মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জুলাইয়ের শুরুতেও দক্ষিণবঙ্গ ভালো বৃষ্টি পেতে চলেছে বলেই আশা করা হচ্ছে। রাজ্যের উত্তরে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির পালা জারি থাকবে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, শুক্রবার ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা হাওয়া বইবে বিভিন্ন জেলায়। এ দিন পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বর্ষার চার মাসের মধ্যে জুনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলো বৃষ্টির অভাবে ভুগেছে।
বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হলেও ঘাটতির পরিমাণ ৭২ শতাংশ। কলকাতায় ঘাটতি ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। সেই পরিস্থিতিতে মাসের একেবারে শেষ দিকে রাজ্যের এই প্রান্ত যদি ভারী বৃষ্টি পায়, তাহলে ঘাটতির পরিমাণ সামান্য হলেও কমবে। অতীতে বৃষ্টি নিয়ে আবহবিদদের একাধিক পূর্বাভাস মেলেনি। এই পূর্বাভাসটা অন্তত মিলুক—মনেপ্রাণে এমনটাই চাইছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ।