শনিবার সকালে বারুইপুরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ২, আহত ৪। আহত চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার সাহাপাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বারুইপুর থানার পুলিশ। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।বারুইপুর থানার সাহাপাড়া এলাকায় শনিবার সকালে একটি গাড়ি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছিল, গাড়িটির কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। সূর্যপুর হাট থেকে সব্জি কিনে বিক্রির জন্য কলকাতার বাজারের দিকে রওনা দিয়েছিল গাড়িটি। সেই সময় সাহা পাড়ার কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তা একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। সেই সময় বারুইপুরের দিক থেকে জয়নগরের দিকে যাচ্ছিল একটি বালি বোঝাই ট্রাক। ট্রাককটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই সব্জি বিক্রেতার। তাঁদের নাম মীরজাফর হোসেন ঘরামী এবং হাকিম মণ্ডল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ করে তাঁরা বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। তাঁরাই গুরুতর আহত তিন জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, তাঁদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরপরেই তাঁদের চিকিৎসার জন্য কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আহতদের নাম সত্য নস্কর (৩২), বাবলু নস্কর (৩৬) , বৈদ্যনাথ নস্কর (২৮),সুকুমার মণ্ডল (৪২)। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারুইপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ করে তাঁরা বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। তাঁরাই গুরুতর আহত তিন জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, তাঁদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরপরেই তাঁদের চিকিৎসার জন্য কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আহতদের নাম সত্য নস্কর (৩২), বাবলু নস্কর (৩৬) , বৈদ্যনাথ নস্কর (২৮),সুকুমার মণ্ডল (৪২)। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারুইপুর থানার পুলিশ।
ইতিমধ্যেই মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিদিন সকালবেলায় বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো হয় সংশ্লিষ্ট রাস্তায়। তাঁরা কড়া পুলিশি নজরদারি এবং স্পিড ব্রেকার লাগানোর দাবি করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত চক্রবর্তীর কথায়, ‘পর্যাপ্ত পুলিশি নজরদারির থাকলেই দুর্ঘটনা কিছুটা কমানো সম্ভব হবে।’
এদিকে এই ঘটনায় ট্রাক ড্রাইভারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম বিমল সরদার। তাঁকে আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার জেরে থমথমে এলাকা। গাড়িগুলির গতি কেমন ছিল? কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল? সেই যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।