গত ২৪ তারিখ রাসুয়া গ্রামের অঞ্জন মাহাতো নামে এক ব্যক্তির বাইক চুরি হয়। চুরির বিষয়টি অঞ্জন থানায় লিখিত ভাবে জানায়। তারপর গত বৃহস্পতিবার সকালে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার পলাশ মাহাতো নামে দশম শ্রেণির পড়ুয়াকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সঙ্গে যায় তার কাকা উদয় মাহাতো। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর মানিকপাড়া ফাঁড়ির ওই নাবালককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ পলাশকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাত্রটি বাড়িতে ফিরে একথা পরিবারের সদস্যদের জানায়। পলাশ বাড়িতে রক্ত বমি করে বলে অভিযোগ। এমনকি হাঁটা চলা করতেও পারছে না পরিবারের লোকেরা গ্রামবাসীদের জানিয়েছেন। শুক্রবার মানিকপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলেও চিকিৎসক ঠিক মত চিকিৎসা করেনি বলে অভিযোগ ছাত্রের পরিবারের।
ঘটনার কথা গ্রাম জানাজানি হতে শনিবার সকালে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে রাসুয়া গ্রামের রাস্তা অবরোধ করেন। নাবালক ছাত্রকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধরে অভিযুক্ত দোষী পুলিশ অফিসারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং মানিকপাড়ার ফাঁড়ির পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানানো হয়। রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে মানিকপাড়া বিট হাউসের পুলিশ পৌঁচ্ছয়। তারপর ঝাড়গ্রাম থানার আইসি বিপ্লব কর্মকার অবরোধকারী গ্রামবাসীদের সঙ্গে ফোন কথা বলে আলোচনার আশ্বাস দিলে দুপুরে অবরোধ তুলে নেন বাসিন্দারা।
এদিন দুপুরে অসুস্থ ছাত্রটিকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ছাত্রটি মেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডের ২১ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি বুহে গ্রামবাসী পরমেশ্বর মাহাতো বলেন, ‘বাড়িতে নিয়ে আসার পর দেখলাম হাঁটতে পারছে না।’ তাঁর কথায়, গতকাল তিনবার রক্ত বমি করেছে। গত শুক্রবার আমরা মানিকপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে ওষুধ দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। কিন্তু সুস্থ না হওয়ায় আমরা সে জন্য আজকে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আসল অপরাধীকে ধরুক। কিন্তু স্কুল ছাত্রকে ডেকে এভাবে মারধর করাটা মেনে নেব না।’ ঘটনা প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামে এসডিপিও শামীম বিশ্বাস বলেন, ‘ঘটনাটির খবর পাওয়া গিয়েছে, প্রকৃতপক্ষে ঘটনাটি কি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’