Kolkata Metro : অরেঞ্জ লাইনের কাজে বিশেষ নজর, এগোচ্ছে পার্পল লাইনও – kolkata metro gave special attention to the work of orange line


এই সময়: গঙ্গার তলা দিয়ে চলাচল শুরুর পর এ বার কি কলকাতা মেট্রোর ‘নেক্সট বিগ থিং’ হতে চলেছে অরেঞ্জ লাইন? কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লাইনই কলকাতা মেট্রোর দীর্ঘতম। এর বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি কাজ চলছে পার্পল লাইন অর্থাৎ জোকা-বিবাদী বাগ অংশেও। পিছিয়ে নেই ইয়েলো লাইন বা নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর অংশ। তবে অরেঞ্জ লাইনে কাজের গতি অন্যগুলোর তুলনায় অনেকটা বেশি।একদিকে কবি সুভাষ এবং অন্য দিকে জয় হিন্দ অর্থাৎ বিমানবন্দর, মাঝে ২২টি স্টেশন — অরেঞ্জ লাইনের বিন্যাস এমনটাই। এই ২৪টি স্টেশনের মধ্যে কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত পাঁচটি স্টেশনের মধ্যে ৫.৪০ কিলোমিটার অংশে বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত ৪.৩৯ কিলোমিটার অংশেও যাত্রী পরিবহণের ছাড়পত্র দিয়েছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)। বাকি স্টেশনগুলোর নির্মাণকাজ এগিয়েছে।

তবে মেট্রোরেল জানাচ্ছে, অরেঞ্জ লাইনের যে অংশটি রাজারহাট ও নিউ টাউন এলাকা দিয়ে গিয়েছে, অর্থাৎ আইটি সেন্টার থেকে সিটি সেন্টার-২ পর্যন্ত অংশের কাজ সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে। এই অংশে যে ১০টি স্টেশন রয়েছে, তাদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজের প্রায় ৯০ শতাংশই শেষ। মেট্রো-কর্তাদের আশা, এই অংশ বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণ শুরু করলে অফিসযাত্রীদের পাশাপাশি নিছক বেড়ানোর জন্যও দৈনিক বেশ ক’হাজার যাত্রী মেট্রোয় চাপবেন।

আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী, কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পুরো অংশ ঠিকঠাক কাজ শুরু করলে দিনে ৫ লক্ষের কাছাকাছি যাত্রী অরেঞ্জ লাইন দিয়ে যাতায়াত করবেন।

পাশাপাশি দ্রুত গতিতে কাজ চলছে পার্পল লাইনের। দিন কয়েক আগেই এই লাইনের ভিক্টোরিয়া স্টেশন তৈরির কাজ শুরু হয়। ময়দান চত্বরে নির্মাণের জন্য কিছু গাছ অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা ছিল নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আরভিএনএল)। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে পরিবেশরক্ষা নিয়ে কর্মরত একটি সংগঠন।

আদালতে সেই মামলা খারিজ হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে আরভিএনএল। মঙ্গলবার কলকাতা মেট্রো জানিয়েছে, ৩২৫ মিটার দীর্ঘ এবং মাটির ১৪.৭ মিটার গভীরে থাকা এই স্টেশনের ডায়াফ্রাম ওয়াল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ভিক্টোরিয়া স্টেশনে যে ডায়াফ্রাম ওয়াল তৈরি হচ্ছে, তার দৈর্ঘ্য ৭০৯ মিটার।

ওই ওয়ালের ১১৫ মিটার তৈরি হয়ে গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাকি কাজ চলছে। ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, ভূগর্ভস্থ স্টেশন তৈরির সময়ে যাতে চারপাশের মাটি না ধসে যায়, তার জন্যই কংক্রিট দিয়ে এমন দেওয়াল তৈরি করা হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *