এদিনের বৈঠকে জানানো হয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে এসেছে ডাকাত দল। তাই সজাগ থাকতে হবে বর্ধমানের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। এদিন শহরের প্রায় শ’খানেক স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিশেষ সচেতনতা মূলক বৈঠকের আয়োজন করে বর্ধমান থানার পুলিশ আধিকারিকরা। এই শিবিরের থানার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান থানার সেকেন্ড অফিসার পারভেজ হাসান, কৌশিক নাগ ও স্বপন বসু এবং শহরের স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, বর্ধমান শহরের বেশিরভাগ স্বর্ণ অলংকারের দোকান রয়েছে শহরের সোনাপট্টী ও মিঠাপুকুর এলাকায়। এই সব এলাকায় বেশি করে সিসিটিভি ক্যামেরা, নিরাপত্তা এলার্ম লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের আনাগোনার খবর থানায় জানানোর কথা বলেছেন এদিন পুলিশ আধিকারিকরা। পাশাপাশি এই সব এলাকায় অতিরিক্তভাবে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী জগন্নাথ দে জানিয়েছেন, বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় স্বর্ণ অলংকারের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে সে ব্যাপারে সচেতন করতে বর্ধমান থানার পক্ষ থেকে এই বৈঠক। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন তাঁদের জানানো হয়েছে, রাজ্যে এখনও বেশ কয়েকটি ডাকাতদল সক্রিয় রয়েছে। তা থেকে সর্তক থাকার পাশাপাশি দোকানে ও এলাকায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা গুলি সক্রিয় রাখতে হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাঁদের কথায়, ইতিমধ্যেই তাঁদের পক্ষ থেকে ৩৫টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, যার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বর্ধমান থানা। এরইসঙ্গে বিপদসূচক ঘণ্টি লাগানোর কথাও বলা হয়েছে তাঁদের। পাশাপাশি কোনও সন্দেহজনক কাউকে বা কিছু নজরে এলেই তৎক্ষণাত পুলিশকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।