Robbery,সক্রিয় ডাকাত দল, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কী করণীয়? ‘পেপ টক’ পুলিশের – bardhaman police to stop robbery gave special message to gold merchants


ভিন রাজ্যের ডাকাতদলের লক্ষ্য কি এবার বর্ধমানের স্বর্ণব্যবসায়ীরা? সন্দেহ জোরালো হতেই স্বর্ণব্যবসায়ীদের সচেতন করতে জরুরি বৈঠক বর্ধমান পুলিশ। রানাঘাট, রানিগঞ্জ, হাওড়া পরপর একাধিক জেলায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে গত কয়েক মাসে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে বিশেষ বার্তা দেওয়া হল পুলিশের তরফে।শনিবার বর্ধমান উদয়চাঁদ জেলা গ্রন্থাগারে বর্ধমান শহর ও শহরতলির স্বর্ণব্যবসায়ীদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করল বর্ধমান থানা। উল্লেখ্য, বাংলার একাধিক জেলায় পর পর সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যদিও বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশি তৎপরতায় সাফল্য পায়নি ডাকাতের দল। এখনও কিছু ডাকাত দল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সোনার দোকানে লুটপাঠ চালানোর জন্য। এই রকম অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে এবার তৎপর হল বর্ধমান জেলা পুলিশ।

এদিনের বৈঠকে জানানো হয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে এসেছে ডাকাত দল। তাই সজাগ থাকতে হবে বর্ধমানের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। এদিন শহরের প্রায় শ’খানেক স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিশেষ সচেতনতা মূলক বৈঠকের আয়োজন করে বর্ধমান থানার পুলিশ আধিকারিকরা। এই শিবিরের থানার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান থানার সেকেন্ড অফিসার পারভেজ হাসান, কৌশিক নাগ ও স্বপন বসু এবং শহরের স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।

Raniganj Dacoity : সোনার দোকানে ফিল্মি কায়দায় ডাকাতি, চলল গুলির লড়াই

উল্লেখ্য, বর্ধমান শহরের বেশিরভাগ স্বর্ণ অলংকারের দোকান রয়েছে শহরের সোনাপট্টী ও মিঠাপুকুর এলাকায়। এই সব এলাকায় বেশি করে সিসিটিভি ক্যামেরা, নিরাপত্তা এলার্ম লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের আনাগোনার খবর থানায় জানানোর কথা বলেছেন এদিন পুলিশ আধিকারিকরা। পাশাপাশি এই সব এলাকায় অতিরিক্তভাবে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।

Robbery In Howrah : রানিগঞ্জের পর হাওড়া! ফের ডাকাতি সোনার দোকানে, রক্তারক্তি কাণ্ড
স্বর্ণ ব্যবসায়ী জগন্নাথ দে জানিয়েছেন, বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় স্বর্ণ অলংকারের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে সে ব্যাপারে সচেতন করতে বর্ধমান থানার পক্ষ থেকে এই বৈঠক। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন তাঁদের জানানো হয়েছে, রাজ্যে এখনও বেশ কয়েকটি ডাকাতদল সক্রিয় রয়েছে। তা থেকে সর্তক থাকার পাশাপাশি দোকানে ও এলাকায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা গুলি সক্রিয় রাখতে হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাঁদের কথায়, ইতিমধ্যেই তাঁদের পক্ষ থেকে ৩৫টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, যার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বর্ধমান থানা। এরইসঙ্গে বিপদসূচক ঘণ্টি লাগানোর কথাও বলা হয়েছে তাঁদের। পাশাপাশি কোনও সন্দেহজনক কাউকে বা কিছু নজরে এলেই তৎক্ষণাত পুলিশকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *