ধৃত নজরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে একটি কুখ্যাত প্রতারক দলের সঙ্গে যুক্ত। তাদের কাজ ছিল দেশের বড় বড় রেল স্টেশনে গিয়ে যাত্রী সেজে ট্রেনে উঠে পড়া। তারপর বিপুল সুযোগ সম্বলিত রেলের কার্ড বিতরণের নামে সহ যাত্রীদের ফাঁদে ফেলে তাদের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করা।
এই দলের হাতে প্রায় দুই লাখ টাকা প্রতারণার শিকার হওয়া একজন রেলযাত্রী রেলের মুম্বাই সেন্ট্রাল থানায় অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০/ ৩৪ ধারায় মামলা শুরু হয়। এই মামলার তদন্তকারী দলের তিনজন রেল পুলিশ অফিসার সুরেশ ইয়েল্লা, গণেশ শিবসাগর এবং আবসিট তেলোনি এদিন কালনা আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে জানান, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে সে ব্যাপারে খোঁজ করা হবে। অন্যদিকে ধৃত নজরুল শেখ বলে এক বন্ধু আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।
পুলিশ অনুমান করছে, এই চক্রের একটি বড় গ্যাং রয়েছে। সেই গ্যাংয়ের সদস্যরাই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে দেহসের বিভিন্ন প্রান্তে এলের যাত্রীদের এইভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলত। সেই দলের এক সদস্য ধৃত নজরুল শেখ। নজরুলের সঙ্গে এই রাজ্যের কারও যোগাযোগ ছিল কিনা, সে ব্যাপারেও দেখা হবে বলে রেল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। রেল যাত্রীদের এরকম প্রতারকের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য সচেনতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছে।