Baghdad Byelection,অভিমান ভুলে উপনির্বাচনে সবাই একসঙ্গে লড়ুন, কর্মিসভার বার্তা সুব্রতর – trinamool state president subrata bakshi message to party workers ahead of by election


এই সময়, বাগদা: বাগদা উপনির্বাচনকে পাখির চোখ করে শনিবার একযোগে হেলেঞ্চায় সভা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক ও বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। দলের অন্দরে ছোটখাটো অভিমান ভুলে উপনির্বাচনে একজোট হয়ে লড়াই চালিয়ে বাগদা কেন্দ্র পুনরুদ্ধার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দেওয়ার কথা বলেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব।আগামী ১০ জুলাই বাগদার উপনির্বাচন। বাগদায় ভোটার রয়েছে ৩ লক্ষ। ব্লকের ১২টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯টি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। বাকি তিনটি বিজেপির। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাগদায় বিজেপির ফল ভালো হয়েছে। সে সব ভুলে বাগদা উপনির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে জোরকদমে প্রচার শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

বাগদা উপনির্বাচনে দলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রথীন ঘোষ, পার্থ ভৌমিকদের। বাগদায় যে তিনটি পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে রয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো হেলেঞ্চা। শনিবার সেই হেলেঞ্চার নেতাজি শতবার্ষিকী কমিউনিটি প্রেক্ষাগৃহে কর্মিসভা করেন সুব্রত, রথীন, পার্থ, নারায়ণ, জয়প্রকাশ মজুমদার, বিশ্বজিৎ দাস এবং মমতাবালা ঠাকুর।

বুথ এবং অঞ্চল ভিত্তিক দলের পদাধিকারী এবং কর্মীরা এ দিন হাজির ছিলেন। বাগদা ব্লকে তৃণমূলের অন্দরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব যাতে ভোটের লড়াইয়ে কোনও প্রভাব না ফেলে, তার জন্য এ দিন সুব্রত, রথীনরা কর্মীদের মোটিভেট করার চেষ্টা করেন।
এ দিনের কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নরমে গরমে কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত।

Trinamool Congress : বাগদা জিততে নয়া রণকৌশল তৃণমূলের, কর্মীদের বিশেষ বার্তা মন্ত্রীর

তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন মধুপর্ণা ঠাকুর। প্রার্থীকে নিয়ে বাগদার মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কাজকর্ম তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ছোটখাটো অভিমান করে যাঁরা বসে আছেন, তাঁরা বাগদায় জয়লাভ করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দিন। দলের একাংশ কর্মীদের নিয়ে কোনও অভিযোগ, অভিমান থাকলে আমার অফিসে এসে জানান।’

এর পরেই সুব্রত বলেন, ‘পঞ্চায়েতের বুথ এবং অঞ্চলে নিজের জায়গায় হারব, অথচ পদ বজায় রাখব, এ বার কিন্তু তা হবে না।’ বাগদায় দলের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে রথীন বলেন, ‘ঘটি, বাটি একসঙ্গে থাকলে ঠোকাঠুকি হয়। তাই বলে আমরা সেগুলো ফেলে দিই না। তেমনি দলের সকলে মিলে একজোট হয়ে লড়াই করুন। তা হলেই বাগদার রং এ বার সবুজ হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *