হাবরা স্টেশন ঢোকার মুখে ভাঙা রেলগেট হাইটেনশন তারের উপর পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তার ছিঁড়ে পড়ে ট্রেনের উপর। দেখা যায় আগুনের ফুলকি। মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ট্রেনের গতি কম থাকায় ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নামেন যাত্রীরা। এই দুর্ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন বলে দাবি। অনেকে আবার তড়িদাহত হওয়ারও দাবি করছেন অনেকে। বড়সড় দুর্ঘটনার থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে দাবি যাত্রী ও স্থানীয়দের। এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। এক্ষেত্রে রেলের চরম গাফিলতিকেই দায়ী করছেন যাত্রীরা। গেটম্যানের দায়িত্বে থাকা রেল কর্মীর ভূমিকা নিয়েও উড়ছে প্রশ্ন। এর জেরে বন্ধ হয়ে যায় আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল। চরম দুর্ভোগে পড়েন বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন যাত্রীরা। আটকে পড়েছে বন্ধন এক্সপ্রেসও। পরে বারাসাত থেকে টাওয়ার ভ্যান গিয়ে তার জোড়া দেওয়ার কাজ চালাচ্ছে। তবে দীর্ঘক্ষণ এভাবে ট্রেন বন্ধ থাকায় রেলের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, হাবরা থেকে ট্রেনগুলি আবার পুনরায় শিয়ালদায় ফেরানোর এবং হাবরা থেকে সিঙ্গেল লাইনে বনগাঁর দিকে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যদিও ছুটির দিন থাকায় ভিড় কম হলেও, এই ঘটনায় যাত্রীরা পড়েছেন বেজার সমস্যায়। এদিনের এই ঘটনায় লোকাল ট্রেনে বড়োসড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলো বলেই মনে করছেন রেল যাত্রীরা।