হাবড়ার কাছে ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙে গিয়েছে রেল গেট। আর সেই রেল গেট গিয়ে পড়েছে ট্রেনের ওভারহেডের তারে। আর তাতেই বিপত্তি ঘটে গিয়েছে বনগাঁ-শিয়ালদা লোকালে। যাত্রীদের অনেকেরই দাবি, তার ছিঁড়ে ট্রেনের ২ নম্বর বগির দরজার সামনে পড়ে। ফলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। কার্যত প্রাণ বাঁচাতে ট্রেনের কামরা থেকে ঝাঁপ দিতে থাকেন যাত্রীরা। আর সেই ঝাঁপ দেওয়ার সময় কোনও কোনও যাত্রী আহত হয়েছেন বলে খবর।তিতাস দাস নামে ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, ‘গাড়ির ধাক্কায় রেলগেটটা ভেঙে গিয়েছে। ট্রেনটা ধীরে ধীরে যাচ্ছিল। একবার দাঁড়িয়েও যার। তারপর সিগন্যাল পেয়ে ফের চলা শুরু করে। প্রথম বগিটা রেলগেটের মুখে এসে আটকে যায়। এদিকে ভাঙা রেলগেটটি সরানোর চেষ্টা চলছিল। দড়ি দিয়ে টেনে সরানো হচ্ছিল। তখনই কোনও কারণে ভাঙা গেটটা ওভারহেডের তারে লেগে যায়। তারপরেই তারটা ছিঁড়ে দ্বিতীয় বগির গেটের মুখে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ছিটকে আসে। আর তা দেখেই জীবন বাঁচানোর জন্য যে যাঁর মতো ঝাঁপ দিতে থাকেন।’ ওই যাত্রী আরও জানাচ্ছেন, ঝাঁপ দিয়ে নামার সময় এক মহিলা যাত্রী অল্পবিস্তর আহতও হয়েছে। ওই মহিলা ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে নামার সময় হাতে ও পায়ে চোট পান। এমনকী তাঁর শাড়িও ছিঁড়ে যায় বলে জানান তিতাস।
এদিকে হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘একটা বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে সবাই বাঁচল। রেলগেটে ভেঙে ওভারহেডের তারে পড়েছে ও সেখান থেকে আগুন ছিটকে এসেছে। যাত্রীরা খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। যাত্রীরা লাফিয়ে ট্রেন থেকে নামে। যাত্রীদের টোটো, অটো ও ভ্যানে করে শহরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। রেলের কাছে অনুরোধ গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক।’
এদিকে হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘একটা বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে সবাই বাঁচল। রেলগেটে ভেঙে ওভারহেডের তারে পড়েছে ও সেখান থেকে আগুন ছিটকে এসেছে। যাত্রীরা খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। যাত্রীরা লাফিয়ে ট্রেন থেকে নামে। যাত্রীদের টোটো, অটো ও ভ্যানে করে শহরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। রেলের কাছে অনুরোধ গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক।’
এদিকে এই ঘটনার জেরে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়েই তৎপরতার সঙ্গে ছিঁড়ে যাওয়া তার মেরামতের কাজ শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্যজনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, পাওয়ার ব্লক করে ওভারহেডের তার মেরামতির কাজ চলছে। ট্রাক ড্রাইভারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় হয়রানির মুখে পড়তে হল যাত্রীদের। রবিবার না হওয়ার স্বাভাবিকভাবেই ভিড় কম ছিল। কিন্তু তারপরেও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাঝপথেই আটকে থাকতে হয় যাত্রীদের।