দোকান, হোটেল হলেও ট্যাক্স আদায় করতে পারছে না পুরসভা। আবার ওই জায়গা থেকে তুলে দিতেও পারছে না তারা। মুর্শিদাবাদ পুরসভার পুরপ্রধান ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ পুর এলাকায় মুর্শিদাবাদ এস্টেট সহ ৭টি দপ্তরের জমি রয়েছে। সেই কারণে পুরসভা কোনও ট্যাক্স আদায় করতে পারছে না। শুধু তাই নয়, জমির কাজগপত্র না থাকায় আমরা দোকানদারদের ট্রেড লাইসেন্স দিতে পারছি না। এস্টেট পদক্ষেপ না করলে ট্যাক্সের আওতায় তাঁদের আনতে পারছি না। আমাদেরও রাজস্বে ক্ষতি হচ্ছে।’
১০ বছর ধরে এস্টেটের জায়গায় বাস করছেন সাকিল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যাঁরা এই জমি দখল করে রেখেছিলেন তাঁদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে আমরা জমি কিনেছিলাম।’ তাঁর দাবি, ‘হেফাজুল শেখ ও সাবিনা বিবি নামে এক মহিলার কাছ থেকে জমি কিনেছেন তিনি।’ হাসি বিবি বলেন, ‘সাবিনা বিবির থেকে ১ কাঠা জায়গা ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। কয়েক দিন আগে এস্টেটের জায়গা বলে জানতে পেরেছি।’
এস্টেটের জায়গায় দোকান করেছেন মহম্মদ সামাউন ও আকবল শেখ। তাঁরা বলেন, ‘২৫ হাজার টাকা দিয়ে জায়গার দখল পেয়েছি। কবে কোনও কাগজপত্র দেয়নি।’ মুর্শিদাবাদ এস্টেটের ম্যানেজার বলেন, ‘সরকারের বেশিরভাগ জায়গায় দখল হয়ে রয়েছে। জমির রেকর্ড বদলে অনেকে নিজেদের নামে দলিল তৈরি করে নিয়েছেন। সেই সমস্ত জমি জায়গার নথিপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। দখল জমি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কারণ, মুর্শিদাবাদে নবাবের আমলের সব জায়গার একটা ঐতিহ্য রয়েছে।’