Estate Land,এস্টেটের জায়গায় দোকান-বাড়ি, ট্যাক্স আদায়ে সমস্যায় পুরসভা – houses shops and hotels are built on murshidabad estate land


এই সময়, মুর্শিদাবাদ: আইন দপ্তরের হাতে থাকা মুর্শিদাবাদ এস্টেটের জমি দখল করে শুধু বাড়ি নয়, গড়ে উঠেছে দোকান, হোটেলও। নবাবের শহর মুর্শিদাবাদে লালবাগ মহকুমা হাসপাতাল থেকে স্টেশন যাওয়ার রাস্তায় হোসেন নগরে প্রায় ৬০-৭০ একর জমি দখল করে কেউ বাস করছেন ৫ বছর, কেউ ১০ বছর। সমস্ত জায়গা নবাব এস্টেটের সম্পত্তি। জবরদখলকারীদের দাবি, তাঁরা কেউ এক লক্ষ, কেউ দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে জায়গার দখল নিয়েছেন।কোনও সরকারি কাগজ তাঁদের নেই, স্বীকার করেছেন তাঁরা। মুর্শিদাবাদ এস্টেটের ম্যানেজার দেবব্রত রায় বলেন, ‘কাকে টাকা দিয়ে সরকারি জমির দখল নিয়েছেন তা বলতে পারব না। মুর্শিদাবাদ জেলায় লালবাগ, সাগরদিঘি, ডোমকল, লালগোলা, কান্দি সহ বিভিন্ন জায়গায় এস্টেটের জায়গা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কলকাতার পার্ক স্ট্রিট, নবাব লেন, চৌরঙ্গী-সহ বিভিন্ন জায়গায় নবাবি আমলের জায়গা রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ জায়গা দখল হয়েছে গিয়েছে। পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

দোকান, হোটেল হলেও ট্যাক্স আদায় করতে পারছে না পুরসভা। আবার ওই জায়গা থেকে তুলে দিতেও পারছে না তারা। মুর্শিদাবাদ পুরসভার পুরপ্রধান ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ পুর এলাকায় মুর্শিদাবাদ এস্টেট সহ ৭টি দপ্তরের জমি রয়েছে। সেই কারণে পুরসভা কোনও ট্যাক্স আদায় করতে পারছে না। শুধু তাই নয়, জমির কাজগপত্র না থাকায় আমরা দোকানদারদের ট্রেড লাইসেন্স দিতে পারছি না। এস্টেট পদক্ষেপ না করলে ট্যাক্সের আওতায় তাঁদের আনতে পারছি না। আমাদেরও রাজস্বে ক্ষতি হচ্ছে।’

১০ বছর ধরে এস্টেটের জায়গায় বাস করছেন সাকিল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যাঁরা এই জমি দখল করে রেখেছিলেন তাঁদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে আমরা জমি কিনেছিলাম।’ তাঁর দাবি, ‘হেফাজুল শেখ ও সাবিনা বিবি নামে এক মহিলার কাছ থেকে জমি কিনেছেন তিনি।’ হাসি বিবি বলেন, ‘সাবিনা বিবির থেকে ১ কাঠা জায়গা ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। কয়েক দিন আগে এস্টেটের জায়গা বলে জানতে পেরেছি।’

ভূমি রাজস্ব দপ্তর: ‘টাকাটাই শেষ কথা, বাকি সব বাতুলতা…’

এস্টেটের জায়গায় দোকান করেছেন মহম্মদ সামাউন ও আকবল শেখ। তাঁরা বলেন, ‘২৫ হাজার টাকা দিয়ে জায়গার দখল পেয়েছি। কবে কোনও কাগজপত্র দেয়নি।’ মুর্শিদাবাদ এস্টেটের ম্যানেজার বলেন, ‘সরকারের বেশিরভাগ জায়গায় দখল হয়ে রয়েছে। জমির রেকর্ড বদলে অনেকে নিজেদের নামে দলিল তৈরি করে নিয়েছেন। সেই সমস্ত জমি জায়গার নথিপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। দখল জমি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কারণ, মুর্শিদাবাদে নবাবের আমলের সব জায়গার একটা ঐতিহ্য রয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *