জোড়াফুল শিবিরের আলিপুরদুয়ার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইকের কথায়, ‘সংসদের অধিবেশনের কারণে আমি দিল্লিতে। তবে ট্রেনে বুকিং শুরু করতে বলেছি।’ কোচবিহারের দিনহাটা রাজ্যের প্রত্যন্ততম এলাকাগুলির একটি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা অভিজ্ঞ তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহর কথায়, ‘ট্রেন-টিকিট কাটা শুরু হয়ে গিয়েছে। সড়ক পথে যেতে ১৬-১৮ ঘণ্টা লাগলেও অনেকে বাস, ছোট গাড়ি নিয়েও যাবেন। বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে।’
পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে যাঁরা সমাবেশে আসেন, তাঁদেরও শহরে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়। দক্ষিণ কলকাতায় গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্ক, সল্টলেক স্টেডিয়াম-সহ বেশ কিছু জায়গায় এঁদের রাখা হয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই জায়গাগুলি পরিদর্শন করেছিলেন গত বছর।
দীর্ঘদিন ধরেই গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত দেখাশোনা করেন কলকাতা পুরসভার বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ। যদিও এ বার এখনও কোনও নির্দেশ পাননি বলে জানিয়েছেন সুশান্ত। আবার, মুর্শিদাবাদের তিন লোকসভায় এই প্রথম জিতেছে তৃণমূল। সেই প্রেক্ষাপটে সমাবেশে বিপুল সংখ্যক লোক নিয়ে যেতে জেলার তিন সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার।
তাঁর কথায়, ‘কান্দি, হরিহরপাড়া-সহ কিছু এলাকা থেকে মানুষ বাসে যাবেন। বাকি এলাকা থেকে ট্রেনে। বাসের বুকিং শুরুও হয়ে গিয়েছে।’ ট্র্যাডিশনালি ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ই বেশি থাকে।
দলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায়ের কথায়, ‘গত বছর প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ গিয়েছিলেন। ব্লক, টাউন স্তরের প্রচারের পর আগামী ৯ তারিখ জেলায় বৈঠক হবে। এ বার কতজন যাবেন, সেটা সেখানেই মোটামুটি ঠিক হয়ে যাবে।’
পূর্ব মেদিনীপুরে দু’টি লোকসভা বিজেপি-র দখলে থাকলেও ২১ জুলাই তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা থেকে বাসে-ট্রেনে প্রায় এক লক্ষ মানুষ কলকাতায় পৌঁছবেন বলে মনে করছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা সৌমেন মহাপাত্র। হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনার নেতা-সমর্থকদের একাংশ জলপথেও পৌঁছে যাবেন মহানগরে।