বিশ্বরূপের এই সাফল্যের পরই শান্তিপুর পুরসভার পক্ষ থেকে পৌরসভার পৌরপিতা সুব্রত ঘোষ এবং পৌরসভার একাধিক আধিকারিকরা বিশ্বরূপের বাড়িতে গিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন এবং বিশ্বরূপের ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল হোক বলে তাকে আশীর্বাদ করেন।
বিশ্বরূপের সম্বন্ধে বলতে গিয়ে শান্তিপুর মিউনিসিপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র দাস জানান, বিশ্বরূপ শান্তিপুর মিউনিসিপাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে। সংসারে সবথেকে বড় প্রতিকূলতার কারণ ছিল অর্থাভাব। এই কারণে বহু ক্ষেত্রেই অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিশ্বরূপকে। পড়াশোনা করতে করতে একটা সময় পরীক্ষা দিতে গিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বিশ্বরূপ। তারপর স্কুলের তরফ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয় তার পরীক্ষার জন্য।
একদিকে, সংসারে অর্থাভাব, বাবার কাজ চলে যাওয়া, মায়ের শরীর খারাপ তৎসহ তাঁর নিজের অসুস্থতা। এই সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে আজ এত ভালো ফলাফল করে দেশের নাম গৌরব করতে গবেষণার জন্য পৌঁছে যাবে ভাবা অ্যাটোমিক স্যার সেন্টারে। তবে বিদ্যালয়ে অত্যন্ত মেধাবী এবং ভালো আচরণের জন্য বারবারই বিশ্বরূপের নাম উঠে এসেছে।
শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানান, এত মেধাবী ছাত্র শান্তিপুরে রয়েছে তা সত্যি গর্বের। শান্তিপুর পুরসভা তথা নদি য়া জেলার নাম উজ্জ্বল করেছে আমাদের শান্তিপুর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই কৃতি সন্তান বিশ্বরূপ। ভবিষ্যতে তাঁর কোনওরকম অসুবিধা হলে পুরসভা পাশে থাকবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। বিশ্বরূপের কথায়, আগামী দিনে রাজ্য তথা দেশের না উজ্জ্বল করতেও বদ্ধপরিকর থাকবেন তিনি।