শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল চোপড়ার ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘যে সমাজ মহিলাদের রক্ষা করতে পারে না, সেই সমাজ সভ্যসমাজ বলে গণ্য হয় না।’ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
এমনকি, ‘বাংলায় এই ধরণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। টাকা, রাজনীতি, সরকারের শক্তি মিলে এসব করানো হচ্ছে। রাজ্য সরকারের দায়িত্ব রাজ্যবাসীর অধিকার যাতে অক্ষুন্ন থাকে সেই দায়িত্ব পালন করার।’ তাঁর কথায়, এটা চলতে পারে না। রাজ্য সরকারকে এসবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিৎ।
অন্যদিকে, চোপড়া কাণ্ডে ইতিমধ্যেই অন্যতম অভিযুক্ত জেসিবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেসিবির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ পাঁচটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রবিবার চোপড়ার লক্ষ্মীপুরে এক যুগলকে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই ভিডিয়ো (যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, ভিডিয়োয় যে ব্যক্তিকে মারতে দেখা গিয়েছে, তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি।
রাজ্যপালের চোপড়ায় না যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যপাল বুঝে গিয়েছেন চোপড়ায় গিয়ে কোনও লাভ নেই। কারণ পুলিশ প্রশাসন সব ব্যবস্থা নিয়েছে। ফলে উনি রাজনীতি করতে গিয়েছিলেন। বিজেপির এখন কে সভাপতি হবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা চলছে তাই রাজ্যপাল কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।’