ঘটনায় মঙ্গলবার পুলিশ গ্রামে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। মঙ্গলবার দিনভর বকরাভিটা এলাকায় চলে অভিযান। সালিশি সভায় মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত বেশ কয়েকজন বাড়িতে তালা দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে খবর। তবে বাড়ি থেকে স্বপ্না ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আইন থাকতেও মহিলাকে কেন এভাবে মারধর করা হল তা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঘটনায় দীপালি রায় মজুমদার নামে এক মহিলা বলেন, ‘যে ভাবে মহিলাকে মারধর করা হয়েছে তা সত্যিই অন্যায়। এর আগেও ওই মহিলা এলাকায় কয়েকজনকে মারধর করেছিল।’ ঘটনায় ডিসিপি পূর্ব দীপক সরকার বলেন, ‘চারজনকে এখনও অবধি গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, বিবাহ বহির্ভূত একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই মহিলা। সেই সম্পর্কে জড়িয়ে স্বামী ও দুই সন্তানকে রেখে বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি। কিছুদিন পর ফিরে এসে ফের স্বামী ও সন্তানদের নিয়েই সংসার করতে চান ওই মহিলা। অভিযোগ, তখনই সালিশি সভা বসায় স্বপ্না। আর সেই সালিশি সভাতেই বধূকে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরেই অপমানে আত্মঘাতী হন ওই বধূ। মহিলার স্বামী জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার ৮ দিন পর আবার ফিরেও আসেন তাঁর স্ত্রী। তিনি স্ত্রীকে পঞ্চায়েতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তার আগেই ঘটে যায় ওই মারধরের ঘটনা।