কেন এমন সিদ্ধান্ত? জানা গিয়েছে, একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা অপব্যবহার করা হচ্ছে। রোগীকে ভর্তি রেখে বিল বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। রোগীর হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও তাঁকে বেশিদিন ভর্তি রাখা হচ্ছে বিল বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য। এমনকি, রোগীর চিকিৎসা না হলেও বিভিন্ন খরচা বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের নামে অযথা বিল বাড়ানো হচ্ছে। সেই কারণেই স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জিনিস খতিয়ে দেখেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে অনেক রোগীর জ্বর, সর্দি-কাশি বা সাধারণ পেট খারাপের মতো সমস্যাতেও তাঁকে ১০ দিনের বেশি হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা হচ্ছে। বিষয়গুলি নজরে এসেছে স্বাস্থ্য দফতরের। স্বাস্থ্য দফতরের এক করতে জানিয়েছেন, সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে অনেক সময় রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয় না স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়। কেননা, সেক্ষেত্রে দৈনিক দেড়-দুহাজার টাকা করে অনুমোদন মেলে। কিন্তু, ভর্তি নেওয়া হলে তাঁকে অতিরিক্ত সময় হাসপাতালে রেখে দেওয়া হয় বিল বাড়ানোর জন্য।
এর পাশাপাশি, বিভিন্ন শল্য চিকিৎসা এবং স্ত্রী রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু অনিয়ম লক্ষ্য করেছে স্বাস্থ্য দফতর। একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, নির্দিষ্ট একটি রজার অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁকে ভর্তি নেওয়া হলেও রোগীর অন্যান্য একাধিক শারীরিক সমস্যা চিহ্নিত করে সেটারও চিকিৎসা করা হচ্ছে বা অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। ফলে, এই ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট যে রোগের জন্য রোগী ভর্তি হয়েছেন, সেই প্যাকেজের অনুমোদন মিলবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।