মসিরুদ্দিনের আরও অভিযোগ, ‘ওরা যখনই জেনেছে রাজ্যপাল আসবেন, তখনই মোহনগছে গিয়ে পরিবারগুলোকে ধমকেছে, রীতিমত ভয় দেখিয়েছে। যে ভিডিয়ো দেখে গোটা দেশ তোলপাড় হয়েছে, সেই নির্যাতিতা এখন উলটো কথা বলছেন। চোপড়ায় রীতিমতো ত্রাস চলছে। ওরা দিনে দুপুরে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু হয়েছে, এখনও চলছে। পুলিশ নির্বিকার। আমরা চাই চোপড়ায় শান্তি ফিরে আসুক।’
এদিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, ‘রাজ্যপালকে আমরা স্বাগতম জানিয়েছিলাম। তিনি আসলে আসল তথ্যটা জানতে পারতেন। আসলেন না কী কারণে সেটা তাঁর বিষয়।’ জেসিবির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর বিধায়ক বলেন, ‘আমার সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক। আমার কাছে সবাই আসে, তাই চেনা পরিচয় হয়। আমি তো আর ওর (জেসিবি) বাড়িতে গিয়ে ধান ভাঙি না বা ও আমার বাড়িতে এসে ধান ভাঙে না। ও যা ভুল করেছে তার শাস্তি পাবে। কোনও সুপারিশ করা হয়নি, তাই আইনে যা ব্যবস্থা হওয়ার তাই হবে। ঘটনাটা দুঃখজনক।’
সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরে এক সালিশি সভায় একদন মহিলা ও একজন পুরুষকে মারধরের ভিডিয়োও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিয়োকে ঘিরে ব্যাপক তোলপাড় পড়ে যায় বিভিন্নমহলে। যদিও সেই ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। তড়িঘড়ি ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি-কে গ্রেফতার করা হয়। আর এবার প্রকাশ্যে এল তারই এক ঘনিষ্ঠের বন্দুক হাতে ছবি।