এরপর পোলেরহাট, ভাঙড় থানা এলাকার আরও কয়েকটি মামলায় নাম জড়ায় আরাবুলের। তাঁকে জেরা করতে একাধিকবার নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরাবুল। এমনকী তাঁর স্ত্রী জাহানারা বিবিও আরাবুলের বিরুদ্ধে কী কী মামলা রয়েছে, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন।
এ বার আরাবুল জামিন পাওয়ায় দৃশ্যতই স্বস্তিতে তাঁর পরিবার। আরাবুলের ছেলে হাকিমুল ইসলাম বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’ এ দিকে, আরাবুল জেলে থাকায় লোকসভা ভোটের ঠিক মুখে তাঁকে ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল দল। লোকসভায় আরাবুলকে ছাড়াই ভাঙড় থেকে তৃণমূল ভালো মার্জিন পায়। দলীয় পদ আগেই গিয়েছিল, এরপর ৯ জুন ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সোনালি বাছাড়কে কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সেই সময়ে বলা হয়েছিল সভাপতি জেলে থাকায় পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম ঠিক ভাবে হচ্ছে না। তাই এই সিদ্ধান্ত। এ বার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল যেদিন জামিন পেলেন, সেদিনই তাঁর নামাঙ্কিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বোর্ড খুলে ফেলা হলো। কেন এমন সিদ্ধান্ত তা নিয়ে অবশ্য কেউ মুখ খুলতে চাননি।
সহ-সভাপতিকে পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্ব দেওয়ায় সোনালি বাছাড় এখন বসছেন আরাবুলের চেয়ারে। আর তাঁর পাশে বসে পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনায় মতামত রাখছেন আরাবুল-বিরোধী বলে পরিচিত খইরুল ইসলাম। এই খইরুলকেই খুনের ছক আরাবুল কষেছিলেন বলে ক’দিন আগে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা।
এ দিন আরাবুলের জামিন প্রসঙ্গে ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকাত মোল্লা বলেন, ‘এটা বিচারাধীন বিষয়। জামিন যে কেউ পেতেই পারেন। তবে আরাবুল ইসলাম দলের কোনও পদে নেই। তাই তাঁকে নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথাও নেই।’ আরাবুলের জামিনের খবরেও কোনও উচ্ছ্বাস চোখে পড়েনি ভাঙড়ে। তাঁর অনুগামীরা কেউ কোনও মিছিল করেননি। আরাবুল অনুগামীদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়েনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও।