Barc Dgfs 2024,চরম আর্থিক প্রতিকূলতার মাঝেও সাফল্য, ভাবায় গবেষণার সুযোগ পেলেন নদিয়ার বিশ্বরূপ – biswarup saha got 8th position in barc dgfs 2024 entrance exam good news


শিক্ষাক্ষেত্রে নদিয়ার মুকুটে নয়া পালক। চরম আর্থিক সংকট সহ বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে জয় করে ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞান গবেষণা প্রবেশিকা পরীক্ষায় অষ্টম স্থান অধিকার করলেন নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বরূপ সাহা। অল ইন্ডিয়া BARC-DGFS 2024 বিজ্ঞান গবেষণা প্রবেশিকা পরীক্ষায় এই সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। বিশ্বরূপের এই সাফল্যে খুশি তাঁর পরিবার, আত্মীয় পরিজন, স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও বন্ধুরা। এই সাফল্যের জন্য বিশ্বরূপকে সংবর্ধনাও দিয়েছে শান্তিপুর পুরসভা।

বিশ্বরূপকে নিয়ে গর্বিত প্রধান শিক্ষক

কৃতি ছাত্রের বিষয়ে বলতে গিয়ে শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক প্রকাশচন্দ্র দাস জানান, এই স্কুল থেকে গত ২০১৮ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন বিশ্বরূপ। সংসারে সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা ছিল অর্থাভাব। এই কারণে বহু ক্ষেত্রেই অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। একবার তো পরীক্ষা দিতে গিয়ে কেন্দ্রেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিশ্বরূপ। তারপর স্কুলের তরফ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয় তাঁর পরীক্ষার জন্য। একদিকে সংসারে অর্থাভাব, বাবার কাজ চলে যাওয়া, অন্যদিকে মায়ের ও নিজের অসুস্থতা, সেই সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে এত ভালো ফলাফল করেছেন বিশ্বরূপ।

স্কুলের শিক্ষকরা আরও জানাচ্ছেন, বিদ্যালয়েও বরাবরই মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন বিশ্বরূপ সাহা। আগামীদিনে নিজের মেধা ও গবেষণার মধ্যে দিয়ে বিশ্বরূপের নাম আরও দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়বে, এমনটাই আশা তাঁর শিক্ষকদের

পাশে থাকার আশ্বাস চেয়ারম্যানের

এদিকে এই বিষয়ে শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ বলেন, ‘শান্তিপুরে এত মেধাবী ছাত্র রয়েছে, তা সত্যিই গর্বের। বিশ্বরূপ শান্তিপুর পুরসভা তথা নদিয়া জেলার নাম উজ্জ্বল করেছে। শান্তিপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃতি সন্তান বিশ্বরূপ।’ চেয়ারম্যানের আশ্বাস, ভবিষ্যতে যে কোনওরকম অসুবিধায়া বিশ্বরূপের পাশে থাকবে পুরসভা। এমনকী তিনি নিজেও সবসময় বিশ্বরূপের পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন চেয়ারম্যান।

বিশ্বরূপ নিজেও আপ্লুত

এদিকে সংবর্ধনা পেয়ে আপ্লুত বিশ্বরূপ নিজেও। আগামীদিনে আরও পরিশ্রম করে বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে চান তিনি। একইসঙ্গে চান শান্তিপুরেরও মুখ উজ্জ্বল করতে। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমার বাড়িতে এসেছেন, সেটা আমার কাছে খুবই গর্বের। তিনি এসে আমায় সংবর্ধিত করলেন। খুবই ভালো লাগছে।’ এক্ষেত্রে আগামীদিনে আরও ছেলেমেয়েরা এভাবেই সফল হবে, এমনটা আশাপ্রকাশও করেন বিশ্বরূপ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *