কলকাতার খবর,লেক গার্ডেন্সে গুলিকাণ্ডের নেপথ্যে কোন রহস্য? গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার ‘সুইসাইড নোট’ – lake gardens shootout case police finds a 7 mm pistol and a note


বুধবার বিকেলে লেক গার্ডেন্স কেঁপে ওঠে পরপর দুটি গুলির শব্দে। একটি গেস্ট হাউসে বছর ২৭-এর রাকেশ কুমার শাহের বিরুদ্ধে ২১ বছরের নিক্কু কুমারীকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। এরপর গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় নিক্কু কুমারীকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।এই ঘটনায় ‘সেভেন এমএম পিস্তল’ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে একটি চার পাতার সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিক্কু এবং রাকেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। কিন্তু, সম্প্রতি নিক্কুর অন্যত্র বিয়ের ঠিক হয়। আর সেই রাগ থেকেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন রাকেশ, মনে করা হচ্ছে এমনটাই। যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে কি কোনও দূরত্ব তৈরি হয়েছিল? সম্পর্কে কি কোনও তৃতীয় ব্যক্তি ছিল? সেই বিষয়গুলি নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, রাকেশের ব্যাগ থেকে ওই ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আগে থেকেই এদিনের জন্য পরিকল্পনা করেছিল রাকেশ। প্রেমিকাকে গুলি করার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজেকে গুলি করেন তিনি। সেক্ষেত্রে এত অল্প সময়ের মধ্যে ওই নোট লেখা সম্ভব নয় বলেই গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান। ফলে তা আগে থেকেই লিখে ব্যাগে রাখা ছিল কিনা, তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই বিষয়টিও।

নিক্কু কুমারীর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলেই জানা যাচ্ছে। ওই গেস্ট হাউসের কর্মীদের বয়ান অনুযায়ী, এর আগেও বেশ কয়েকবার নিক্কু এবং রাকেশ সেখানে এসে উঠেছিলেন। একবার রাত্রিবাসও করেন তাঁরা। প্রত্যেকবার নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছেন তাঁরা। এই বার তাঁদের জন্য সংশ্লিষ্ট গেস্ট হাউসের ৩০১ নম্বর ঘরটি বরাদ্দ করা হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানে ঢোকার পরেই তাঁদের মধ্যে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। এরপরে বিকেল ৪টে ৫০ নাগাদ গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার গুলির শব্দ শুনতে পান।

নিক্কু জানান, তাঁর সঙ্গে ঝগড়ার সময় রাকেশ তাঁকে পেছন থেকে গুলি করেন। তাঁর ডান কোমরের উপরের অংশে সেই গুলি লাগে। এরপর গেস্ট হাউসের কর্মীরাই তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপরেই লেক থানায় ফোন করেন গেস্ট হাউসের কর্মীরা। এরপর কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাদের কামরা থেকে অপর একটি গুলির শব্দ ভেসে আসে। এরপর পুলিশ এসে ৩০১ নম্বর ঘরে গিয়ে রাকেশের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *