Chopra Lynching Case : চোপড়াকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২, নির্যাতিতার বাড়িতে মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা – chopra lynching case two more accused arrested by uttar dinajpur police


চোপড়াকাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই। আবদুল রউফ ও তাহিরুল ইসলাম নামে দুই যুবককে গণপ্রহারের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন মূল অভিযুক্ত জেসিবির পরিবারের সদস্য বলে জানা গিয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আবদুল রউফ চোপড়া সীমান্তের লক্ষ্মীপুর পঞ্চায়েতের মুন্সিটোলার বাসিন্দা। অন্যদিকে, আবদুল রউফ আলমগঞ্জের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের দুজনকেই ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার এক যুগলকে কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হল। মূল অভিযুক্ত জেসিবি আগেই গ্রেফতার হয়েছিল।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার চোপড়ার লক্ষ্মীপুরে আসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। চারজনের এই প্রতিনিধি দল প্রথমে দীঘলগাঁও-এ নির্যাতিতদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে। এরপর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা তাঁরা লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এসে কথাবার্তা বলে। যদিও সংবাদ মাধ্যমের সামনে তাঁরা কিছু বলতে চাননি।

Chopra Incident: চোপড়াকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়কের থেকে রিপোর্ট তলব দলের

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন চোপড়ার এক যুগলকে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ‘দাদাগিরি’র ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সমাজ মাধ্যমে। মাটিতে ফেলে এক যুবক ও যুবতীকে লাগাতার কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারধর করার ফুটেজ ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক তৈরি হয়। যুগলকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন মহিলা-সহ অসংখ্য মানুষজন। অথচ কেউ তাঁদেরকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে যেতে দেখা যায়নি। যুগলকে পাশবিকভাবে মারধরের মর্মান্তিক দৃশ্য ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র প্রতিবাদ হয় বিভিন্ন মহল থেকে।

পা ধরে ক্ষমা! নয়া ভিডিয়ো ঘিরে ফের আলোচনায় চোপড়া
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন ওই তরুণ-তরুণী। তার পর গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ঘটনার পরেই পুলিশ তদন্তে নেমে জেসিবিকে গ্রেফতার করে। গতকাল এই ঘটনায় যুক্ত আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জেসিবি স্থানীয় বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন বিরোধীরা। এর মাঝেই বিধায়ক হামিদুলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই ধরনের সালিশি সভা যাতে কোনওভাবেই না হয়, সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দেন তিনি। অন্যদিকে, বিধায়ক হামিদুলের এই ঘটনা সম্পর্কিত একটি মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। পুরো বিষয়টি নিয়ে শাসক দলের তরফে বিধায়ককে শোকজ করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *